আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস লড়াই কী তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে? প্যালেস্তাইনের মুক্তি সংগঠন হামাসের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শত্রু সিরিয়ার দুই বিমানবন্দরে হামলা চালাল ইজরায়েলের সেনারা। আমেরিকার কাছ থেকে ভিক্ষা পাওয়া ক্ষেণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে দামাস্কাস ও আলেপ্পো বিমানবন্দরে। ওই হামলায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে হামলার পরেই দুটি বিমানবন্দরে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে ইজরায়েলকে যোগ্য জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
গত শনিবার সকালে আচমকাই গাজা উপত্যকা থেকে ইজরায়েলের তেল আভিভ-সহ একাধিক জায়গা লক্ষ্য করে প্রথমে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। শুধু তাই নয়, সীমানা পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে গিয়ে বেশ কয়েকশো সেনা ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে যায়। ওই হামলায় দেড় হাজারের বেশি ইজরায়েলি সেনা-পুলিশ ও নাগরিক প্রাণ হারান। হামাস হামলার বদলা নিতে পাল্টা গাজা উপত্যকায় হত্যালীলায় নেমে পড়ে মার্কিন মদতপুষ্ট ইজরায়েল সরকার। গাজার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ এবং হাসপাতাল লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমাও ব্যবহার করা হয়। গাজাকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তবে হামাসের সঙ্গে লড়াইয়ে মধ্যে কেন সিরিয়ার দুই বিমানবন্দরে ইজরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ইজরায়েল সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সূত্রের খবর, হামাস যোদ্ধাদের মদত জোগানোর অভিযোগেই সিরিয়ার দুই বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে।