আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লাশ আর লাশ। সময় যত গড়াচ্ছে ততই লাশের পাহাড় জমছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত তুরস্ক আর সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আট হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। শুধুমাত্র তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার ৮৯৪ জন আর সিরিয়ায় এক হাজার ৯৩২ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার উদ্ধারকারী অসহায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে লড়াই চালাচ্ছেন।
গত সোমবার স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সীমান্ত লাগোয়া সিরিয়ার একাধিক শহর। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে। শক্তিশালী ভূমিকম্পে গুঁড়িয়ে যায় কয়েক হাজার বাড়ি। অধিকাংশ মানুষই ঘুমিয়ে থাকায় প্রাণ নিয়ে পালাতে পারেননি। ধ্বংসস্তুপের নিচেই চাপা পড়ে অসহায়ভাবে প্রাণ হারান। প্রকৃতির রোষে প্রাণ হারিয়েছে অসংখ্য শিশুও।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উদ্ধারকার্য বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে অনেকেই ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে অসহায়ভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। উদ্ধারকার্যে গতি আনতে ইতিমধ্যেই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপে এর্ডোয়ান। কিন্তু যেভাবে মৃত্যুমিছিলের সারি ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে তাতে শতাব্দীর ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বুঝতেই পারছেন না প্রশাসনিক আধিকারিক ও উদ্ধারকারীরা।