আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন সংসদের নিম্নকক্ষের স্পিকার (US House Speaker) ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) সফরের পরেই তাইওয়ানকে (Taiwan) হাতে ও ভাতে মারতে উঠে পড়ে লেগেছে চিন (China)। ইতিমধ্যে যেমন দ্বীপখণ্ডটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তেমনই তাইওয়ানকে চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে মহড়া শুরু করেছে চিনা লালফৌজ। এমনকী তাইওয়ানের আকাশে চক্কর কাটতে শুরু করেছে চিনা যুদ্ধবিমানও। যে কোনও মুহুর্তেই আক্রমণ শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। চিনের সেই হামলা থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে শুক্রবার তাইওয়ান প্রণালীতে যুদ্ধবিমানবাহী পরমাণু যুদ্ধজাহাজ (Nuclear Warship) ‘ইউএসএস রোনাল্ড রেগন’ (USS Ronald Regan) মোতায়েন করল বাইডেন প্রশাসন (Joe Biden Adminastration)।
মার্কিন সিকিওরিটি কাউন্সিলের (US Security Council) প্রধান জন কিরবি (John Kirvy) জানিয়েছেন, ‘চিন যেহেতু তাইওয়ান আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, তাই ইউএসএস রোনাল্ড রেগনকে তাইওয়ানের আশেপাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিনের যে কোনও আক্রমণ থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।’ মার্কিন পরমাণু যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগান যে কোনও দেশের কাছেই আতঙ্কের। কেননা, এই যুদ্ধজাহাজে যেমন প্রায় আড়াই হাজার সেনা থাকতে পারেন, তেমনই ৯০টির বেশি যুদ্ধবিমানও ঠাঁই পেতে পারে। প্রতি ঘন্টায় ৫৬ কিলোমিটার জলপথ পেরোতে পারে।
ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের ঠাণ্ডা লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই পেলোসি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেজিং। সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু সহযোগিতার ক্ষেত্রেও সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে।