আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিবিসির অফিসে আয়কর হানা নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়েছিল মোদি সরকারের। এবার অস্বস্তি বাড়াল ব্রিটিশ সংসদ। বিবিসির নয়াদিল্লি ও মুম্বইয়ের কার্যালয়ে আয়কর হানা নিয়ে মঙ্গলবার ব্রিটেনের সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবের উপরে আলোচনায় দলমত নির্বিশেষে সব দলের সাংসদরা আয়কর হানার নিন্দা করেছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আয়-ব্যয়ের হিসেব নেওয়ার নাম করে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের কর্মী এবং সম্পাদকমন্ডলীর সদস্যদের হেনস্থা করা হয়েছে। কাটা কাটা ভাষায় বলা হয়েছে, বিবিসির তৈরি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রে ভারত সরকারের রোষের কারণ হয়ে উঠেছে। তাই, বিবিসির কর্মী এবং সম্পাদকমণ্ডলীকে ভয় দেখাতেই দিল্লি ও মুম্বইয়ে এক যোগে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর।
নিন্দা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য় রাখতে গিয়ে টরি সাংসদ ডেভিড ব়্যাটলে জানিয়েছেন, আমরা সবাই বিবিসির পক্ষে। সংবাদজগতে বিবিসি একটি প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। যে প্রতিষ্ঠানে পেশাদারিত্ব শেষ কথা। বিবিসি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। বিবিসি পক্ষপাতিত্ব নীতিতে বিশ্বাস করে না। বিরোধীদলও এই ব্যাপারে ভারত সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে। লেবার সাংসদ ফ্যাবিয়ান হ্যামিল্টন আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনও রাজনৈতিক নেতা সমালোচনার উর্ধ্বে নন। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল ভিত হল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। সরকারের দায়িত্ব সেই স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করা। বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে যা হয়েছে সেটা কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে সংবাদপরিবেশনে বাধা দেওয়া হয়েছে। এটা নিন্দার যোগ্য।