আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার এক সেনা জওয়ানকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা শোনাল ইউক্রেন আদালত। নিরীহ নাগরিকদের খুন করার দায়েই ওই সাজা দেওয়া হয়েছে। ভাদিম শিশিমারিন নামে ২১ বছর বয়সী ওই সেনা রুশ বাহিনীতে সাঁজোয়া কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলের চুপাকিভকাতে ওলেকজান্দ্রা সেলিপোভ নামে ৬২ বছর বয়সী এক নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল।
রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোদিমির জেলেনস্কি লাগাতার অভিযোগ করে চলেছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকজন রুশ সেনাকে আটক করেছে ইউক্রেন সেনাবাহিনী। ধৃতদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা চলবে বলেও ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল। সোমবার প্রথমবারের মতো যুদ্ধাপরাধের দায়ে কোনও রুশ সেনাকে সাজা দেওয়া হল। এদিন রায় দিতে গিয়ে বিচারক সারে আগাফোনভ বলেছেন, ‘একজন নিরীহ নাগরিককে বিনা কারণে গুলি করে খুন করার দায়ে রুশ সেনা জওয়ান ভাদিম শিশিমারিনের সারা জীবন জেলে থেকে পচে মরে যাওয়া উচিত।’
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দোষীসাব্যস্ত ভাদিম শিশিমারিনসহ চার রুশ সেনা একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। চুপাখিভকা আসার পর তারা গ্রামের এক সাইকেল আরোহীকে দেখতে পান। রুশ সেনাদের উপস্থিতি সম্পর্কে যাতে তথ্য দিতে না পারেন, তার জন্যই ওই নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে মারার নির্দেশ দিয়েছিলেন শিশিমারিন।
যদিও যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেশের সেনাবাহিনীর এক সদস্যের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে কূটনীতিবিদরা মনে করছেন, ভাদিম শিশিমারিনের শাস্তির পাল্টা হিসেবে মারিউপোলের আজভস্টলে আত্মসমর্পণকারী ইউক্রেন সেনাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে মস্কো।