আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজার ওপর হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল বাহিনী। এই আবহে অবরুদ্ধ গাজা উপকূলে ত্রাণ পাঠাতে গিয়ে ইজরায়েলি হামলায় এখন প্রাণ হারালেন ১৯৬ জন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক খাদ্য সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) গাড়িতে হামলা চালায় ইজরায়েল বাহিনী। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন অস্ট্রেলিয়ার, তিন জন ব্রিটেনের , একজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, একজন পোল্যান্ডের ও একজন ফিলিস্তিনের নাগরিক। তবে এই ঘটনার পর পথে নামল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জ সদরদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব বলেন, ইজরায়েল ত্রাণ কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার ভুল স্বীকার করেছে। তবে ইজরায়েল বাহিনী স্বীকার করলেও বারবার গাজায় চলছে হামলার ঘটনা। আর তাতেই প্রাণ হারাচ্ছেন ত্রাণ কর্মীরা। এই ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেইজন্য তদন্ত শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
উল্লেখ্য, গত ৭ ই অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২০০ জনের মতো নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩২০ জনের মতো সেনা রয়েছেন। এই হামলার পরেই গাজার ওপর হামলা শুরু করে ইজরায়েল বাহিনী। ইজরায়েল এবং হামাস সংঘর্ষের জেরে গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ হাজার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইজরায়েল -হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। গত তিন মাসে ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু। শুধু প্রাণ হারান নয় ইয়রায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন শতাধিক শিশু। একথায় ইজরায়েলি হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।