এই মুহূর্তে




গাজায় গণহত্যায় সহযোগিতা করেছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজন-গুগল! চাঞ্চল্যকর দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধির




নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজা উপত্যকায় গত পৌনে দু’বছর ধরে গণহত্যা সংগঠিত করে চলেছে ইজরায়েলের জল্লাদ বাহিনী। আর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নিয়োগ করা ওই জল্লাদ বাহিনীকে গণহত্যায় সহায়তা করে চলেছে মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যামাজনের মতো মুনাফাখোর মার্কিনি বহুজাতিক সংস্থাগুলো। প্যালেস্টাইনে নিযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসেকা আলবানিজের নতুন রিপোর্টেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আগামিকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জেনেভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূতের রিপোর্ট নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি মুনাফাখোর মার্কিনি সংস্থাগুলো।

প্যালেস্তানিয় মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হামলার পরেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করেছে ইজরায়েলি জল্লাদ বাহিনী। ওই হামলায় ৫৬ হাজারের বেশি নিরীহ প্যালেস্তানিয় প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। যাদের অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। যদিও ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘হারে‍ৎজ’ সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইজরায়েলি হামলায় ৫৬ হাজার নয়, এক লাখের বেশি নিরীহ প্যালেস্তানীয় প্রাণ হারিয়েছেন। গত মাসখানেক ধরেই ত্রাণের ফাঁদে পেলে নিরীহ প্যালেস্তানিয়দের নৃশংসভাবে খুন করে চলেছে ইজরায়েলি জল্লাদ বাহিনী।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আলজাজিরা’ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি গণহত্যায় সহযোগিতা করে চলেছে বলে এক বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। ওই ৪৮ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট, গুগল, অ্যামাজন আইবিএমের মতো বহুজাতিক সংস্থা। আলবানিজের তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাইক্রোসফট, অ্যালফাবেট (গুগলের মূল সংস্থা) ও অ্যামাজন ইজরায়েলকে তাদের ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তিগুলোর ‘প্রায় পূর্ণাঙ্গ সরকারি ব্যবহারের সুযোগ’ দিয়েছে। মার্কিন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘আইবিএম’ ইজরায়েলি সামরিক ও গোয়েন্দা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং ইজরায়েলের জনসংখ্যা, অভিবাসন ও সীমান্ত কর্তৃপক্ষের (পিআইবিএ) কেন্দ্রীয় ডেটাবেস পরিচালনা করছে। এই ডেটাবেসে ফিলিস্তিনিদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ‘পালানটির টেকনোলজিস’ গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়িয়েছে। এছাড়া ক্যাটারপিলার, লিওনার্দোর মালিকানাধীন রাডা ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রিজ, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচডি হুন্ডাই এবং সুইডেনের ভলভো পশ্চিম তীরে বাড়ি ভাঙার এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। অর্থা‍ৎ ইজরায়েল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তাতে পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে সাহায্য করে অ্যামাজন মাইক্রোসফটও মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে দাবি আলবানিজের।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

পরপর তিনবার ভূমিকম্পে কাঁপল রাশিয়া, কম্পনমাত্রা ৭.৫, জারি সুনামি সতর্কতা

২০ বছর কোমায় থাকা সৌদি রাজকুমারের মৃত্যু

ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু

ইরানে যাত্রীবোঝাই বাস উল্টে নিহত কমপক্ষে ২১ জন, আহত অন্তত ৩৪

চরম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, এসিসি-র সভা বয়কটের হুমকি ভারতের, এশিয়া কাপ নিয়ে শঙ্কা

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, ফোন নম্বর বদলে ফেললেন মাস্ক

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ