আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চিনের মালিকাধীন জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’-কে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে আখ্যা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি একাধিক অঙ্গ রাজ্যের প্রশাসন নিষিদ্ধও ঘোষণা করেছিল জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটিকে। সেই বিপজ্জনক সমাজমাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর তাঁর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের ঠান্ডা লড়াই চলছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় ওই লড়াই তুঙ্গে পৌঁছেছিল। তার জেরেই চিনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন ‘টিকটক’কে জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার কথাও ঘোষণা করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে চিন সরকার নিজের প্রচার চালানোর হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। তবে বাইটড্যান্স বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের সরকার নিরাপত্তার কারণে সরকারি ডিভাইসে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি মন্টানার অঙ্গরাজ্যের সরকার অ্যাপটিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে আদালতের কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সেই বিতর্কিত অ্যাপেই রবিবার নিজের অ্যাকাউন্ট চালু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর প্রথম দিনই ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ওই ভিডিওতে বাইডেন রাজনীতি ও এনএফএল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার মতো বিষয় নিয়ে রসিকতা করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে তরুণ ও নবীন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে পৌঁছতেই টিকটকে আত্মপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে বিষয়টিকে ভোটে পাল্টা হাতিয়ার করে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বাইডেনকে বিঁধতে পারেন রিপাবলিকানরা।