আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনিদের বসত ভিটে গাজা কীভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে সেই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার ফের ইজরায়েল যাচ্ছেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। উল্লেখ্য, হামাস হামলার পরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তেল আভিভে পা রাখছেন জো বাইডেনের যাবতীয় কুকর্মের অন্যতম হোতা। গত সপ্তাহেই ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করে গাজার বাসিন্দাদের কীভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হবে তার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন ইহুদি ধর্মাবলম্বী ব্লিঙ্কেন।
ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে নতুন করে হামাস সংগঠন আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। শুধু তাই নয়, বাইডেনের পরামর্শমতোই গাজার বাসিন্দাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পানীয় জল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েল সরকার।
অন্যদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে ততই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইজরায়েলকে মদত জোগানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাউইডেনের সরকারি কার্যালয় হোয়াইট হাউস এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। বিক্ষোভ দেখালে কঠোর আন্দোলনকারীদের জেলে পোরার হুমকি দিয়েছিল বাইডেন ও সুনক প্রশাসন, কিন্তু সেই হুশিঁয়ারিকে পাত্তা দেননি বিক্ষোভকারীরা।
অন্যদিকে, অসহায় ফিলিস্তিনিবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার। রবিবার ফিলিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই ৩০ টন মানবিক ত্রাণ পৌঁছবে।