নিজস্ব প্রতিনিধি, আমদাবাদ: সাই সুদর্শনের বিধ্বংসী ব্যাটিং আর ঋদ্ধিমান সাহার অর্ধশতরানের সুবাদে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়ল হার্দিক পাণ্ড্যর গুজরাত টাইটানস। সোমবার আইপিএল ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তুলেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ানরা। ফাইনালে জঘন্য বোলিংয়ের পাশাপাশি জঘন্য ফিল্ডিং করেছেন ধোনির ছেলেরা।
আমদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে প্রথমে গুজরাতকে ব্যাটিং করতে পাঠান চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু তার সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। পাওয়ার প্লে’র প্রথম দুই ওভারে কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিলেন গুজরাতের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। দ্বিতীয় ওভারে তুষার দেশপান্ডের বলে গিলের সহজ ক্যাচ ফস্কান দীপক চহার। আর তার মূল্য চোকাতে হয় চেমন্নাইকে। তৃতীয় ওভার থেকেই মারমুখি হয়ে ওঠেন গুজরাতের দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তোলেন দুজনে। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে শুভমন গিলকে (২০ বলে ৩৯) ফেরান রবীন্দ্র জাদেজা। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে চেন্নাইয়ের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকেন ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শন। ৩৬ বলে অর্ধ শতরান করেন ঋদ্ধি। এ নিয়ে আইপিএলে ১৩ তম অর্ধ শতরান পেলেন তিনি। তবে অর্ধ শতরানের পরেই দীপক চহারের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন ঋদ্ধি। আর ঋদ্ধি ফিরতে আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন সুদর্শন। চেন্নাইয়ের বোলারদের কার্যত তুলোধনা করেন। ৩৩ বলেই আইপিএলে নিজের চতুর্থ অর্ধ শতরান তুলে নেন। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। অর্ধ শতরানের পরেই খুনে মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন সুদর্শন। মার খেয়ে লাইন লেংথ হারিয়ে ফেলেন মাথিশ পাথিরানা, তুষার দেশপান্ডেরা। যখনই মনে হচ্ছিল ফাইনালে শতরান করার মতো নজির গড়বেন তখনই সাইকে সাজঘরে ফেরান মাথিশ পাথিরানা। ৪৭ বলে ৯৬ রান করে ফেরেন সুদর্শন। শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ১৪ রান তোলেন হার্দিক ও রশিদ খান। শেষ বলে রশিদকে আউট করেন পাথিরানা। ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান তোলে গুজরাত।