কৌশিক দে সরকার: আগামিকাল অর্থাৎ ১৬ মার্চ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। একই সঙ্গে দেশজুড়ে সঙ্গে সঙ্গে লাগু হয়ে যেতে চলেছে আদর্শ আচরণ বিধি। ঠিক তার প্রাক্কালে এদিন অর্থাৎ শুক্রবার বাংলার শাসক দলের তরফে একটি ট্যুইট করা হয়েছে যা বিরোধী রাজনৈতিক দলের পায়ের নীচের মাটিতে কাঁপুনি ধরিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। এদিন তৃণমূলের(TMC) করা ট্যুইটের(Tweet) হিসাবে বাংলার(Bengal) প্রায় ৩ কোটি, ৫০ লক্ষ ৯০ হাজার মহিলার কাছে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য সরকারের চালু করা মহিলাদের(Women) জন্য নানান আর্থ সামাজিক প্রকল্প। এই সব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সর্বাগ্রে লক্ষীর ভান্ডার। তারপরে একে একে আছে কন্যাশ্রী, বিধবা ভাতা, রূপশ্রী এবং বার্ধক্য ভাতা। এদের মধ্যে সবাই ভোটার নন। তবুই সেই সংখ্যাটা অর্থাৎ রাজ্যের আর্থসামাজিক প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপক বাংলার মহিলা ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। এদের মধ্যে সবাই যে তৃণমূলকেই ভোট দেবে এমন নয়। তবুও সেই ভোট দেওয়া মহিলাদের সংখ্যাটা আড়াই কোটির আশেপাশেই থাকবে বলে তৃণমূল তো বটেই, ভোট সমীক্ষকরাও মনে করছেন।
গত জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত সংশোধিত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী, এ রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ৭ কোটি ৫৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭৮ জন। এই তালিকার ভিত্তিতেই হবে আগামী লোকসভা ভোট। সেখানেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যে এখন মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৮১ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৪ হাজার ৯৬০জন। রাজ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ১৮৩৭ জন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ভোটার তালিকায় নাম ছিল ৭ কোটি ২৯ লক্ষ ২৪ হাজার ১০৬জন ভোটারের। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিলেন। সারা রাজ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ছিল ৫ কোটি ৯৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৮৯টি।
এর মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছিল ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪২০টি ভোট। শতাংশের হিসাবে ৪৮ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক। আর এবার তো ভোটারের সংখ্যা ২৯ লক্ষ বেড়ে গিয়েছে। আর সেই সূত্রেই ভোট সমীক্ষকদের দাবি, রাজ্যের নানা আর্থ সামাজিক প্রকল্পে লাভবান মহিলা ভোটারদের হাত ধরেই তৃণমূল রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে যাবে। শেষে হয়তো দেখা যাবে একুশের ৪৮ শতাংশ পার করে তৃণমূল রাজ্যের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষের সমর্থন পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এবং আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে ওঠার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই(Mamata Banerjee) কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে।