নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৪ সাল থেকে তিনি টানা সাংসদ। ডায়মন্ডহারবারের(Daimond Harbour) তৃণমূল সাংসদ(TMC MP)। সেই তাঁকেই কিনা হারাতে তলে তলে জোট বাঁধছে বিরোধিরা। বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। ৩’র জোট। আর প্রার্থী কে? না, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি(Nowshad Siddiqui)। কেন নওশাদ? না, ডায়মন্ডহারবারের ৫০ শতাংশ ভোটার সংখ্যালঘু, যাদের প্রায় পুরো ভোটটাই পায় তৃণমূল। সেই ভোটে থাবা বসানো গেলে ১০ বছরের সাংসদকেও হারানো যাবে। এমনই অভিপ্রায় বিরোধী জোটের। কিন্তু এই সব জোটকে যে সেই ১০ বছরের সাংসদই পাত্তা দিচ্ছেন না সেটা এদিন পরিষ্কার তিনি নিজেই পরিষ্কার করে দিলেন। তিনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।
এদিন নিজ সংসদয়ীয় কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফলতা বিধানসভা কেন্দ্রের ফরেপুর হাইস্কুলের মাঠে তৃণমূলের একটি বস্ত্র বিতরণের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অভিষেক নাম না করেই নিশানা বানা নওশাদকে। বলেন, ‘টাকা নিয়ে সেটিং, ধর্মে ধর্মে বিভেদ তৈরি করা একজন জনপ্রতিনিধির কাজ নয়। তাঁদের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। জনপ্রতিনিধির কাজ দাঙ্গা লাগানো নয়, টাকা নিয়ে সেটিং করা নয়, জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে থাকা। যতদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছে এখানে ধর্মের নামে বিভাজন হতে দেব না। শুনছি কেউ কেউ চাইছেন ডায়মন্ডহারবার থেকে দাঁড়াতে। সে দাঁড়াক। গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেও দাঁড়াতে পারে। এটা তো গণতন্ত্র। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মানুষ ভোটে তাঁদের ভোকাট্টা করে দেবে। আমি যতদিন আছি, এখানে কোনওদিন সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে দেব না। আমার জনসমর্থনের মূল ভিত্তি এখানকার উন্নয়ন।’