নিজস্ব প্রতিনিধি: শেষ হয়ে গিয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পালা। আগামী ১০ মার্চ বার হবে সেই ৫ রাজ্যের ভোটযুদ্ধের ফলাফল। বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম এই ৫ রাজ্যের এক্সিট পোল তুলে ধরছে তাতে দেখা যাচ্ছে আরব সাগরের তীরে থাকা গোয়ায়(Goa) কার্যত কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তবে সেখানে লড়াই কেন্দ্রীভূত থাকছে দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেই। বিজেপি(BJP) ও কংগ্রেস(INC)। এই দুই দলই সেখানে প্রথম দুই বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসতে চলেছে। দুইয়ের মধ্যে কড়া লড়াই হওয়ায় তাঁদের আসন প্রাপ্তির ফারাক সামান্যই থাকবে। কিন্তু এই দুই দলের যেই সরকার গড়ুক না কেন তাঁকে সাহায্য নিতে হবে কিছু আঞ্চলিক দল বা অন্য কোনও জাতীয় দলের। কেননা সব সমীক্ষাই বলছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির হাতে যেতে চলেছে ৮ থেকে ৯টি আসন। সেই হিসাবে তৃণমূলই সেখানে কিংমেকার হয়ে উঠতে চলেছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই গোয়ায় পা রাখতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek BAnerjee)।
তৃণমূল এই প্রথম গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করছে। সেই লড়াই কার্যত গোয়ার মাটিতে শুরুই করতে হয়েছে শূন্য থেকে। এই অবস্থায় তৃণমূল যে সেখানে ‘কিংমেকার’ হয়ে উঠতে চলেছে সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিজেপির মনোভাব। ৫ বছর আগে হওয়া গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গড়তে পারেনি। কেননা বিজেপি কংগ্রেসের বিধায়ক ভাঙিয়ে সেখানে নিজেরাই সরকার গড়ে ফেলেছিল। এবারেও যেহেতু গোয়ার বিধানসভা ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে তাই এবারেও পূর্ণ সম্ভাবনা থাকছে সামনের দরজা দিয়ে না হলে পিছনের দরজা দিয়ে আবারও সেখানকার ক্ষমতা দখল করতে পারে বিজেপি। কংগ্রেস বিধায়কদের ধরে রাখার ক্ষমতা নেই তৃণমূলের। কিন্তু মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে যে কয়জন বিধায়ক তৃণমূল জিতিয়ে আনতে পারে সেই জোটের জয়ী বিধায়কদের যাতে বিজেপি কোনও ভাবেই হাত করতে না পারে সেই বিষয়ে এখন থেকেই সতর্ক থাকছে তৃণমূল। সেই সতর্কতার জন্যই অভিষেক আগে আগেই পা রাখছেন গোয়ার মাটিতে। যাতে তৃণমূল বা মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির জয়ী বিধায়কদের নিজেদের দিকে বিজেপি টানতে না পারে।