নিজস্ব প্রতিনিধি: সকলের নজরেই এখন বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা। এবার সেই বাংলার(Bengal) বুকে শিল্পোন্নয়নের অংশীদার হতে এবার আগ্রহ প্রকাশ করল Asian Development Bank বা ADB। রাজ্যে যে চারটি শিল্প ও বাণিজ্য তথা Industrial and Economic Corridor করিডর তৈরি হচ্ছে, সেই কাজে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ADB। শুক্রবার নবান্নের সভাঘরে বিভিন্ন বণিকসভা এবং রফতানিকারক সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাঙ্ক বা World Bank ও ADB’র প্রতিনিধিরাও। সেই বৈঠকেই ADB’র তরফে বাংলার শিল্পোন্নয়নের অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন মমতার বাংলাকে ২৫০০ কোটি টাকার ঋণ বিশ্বব্যাঙ্কের
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে গত ১২ বছরে বাংলার যে অগ্রগতি হয়েছে এবং উন্নয়নের যে অভিমুখ ধরা পড়েছে তাতে মুগ্ধ বিশ্বব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা। আর সেই কারণেই বিশ্বব্যাঙ্কের তরফেই বাংলাকে সহজ শর্তে ২৫০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব যাতে জলে না যায় তার জন্যই শুক্রবার নবান্নে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া টাকায় রাজ্য সরকার পণ্য মজুত করে রাখার জন্য উন্নতমানের পরিকাঠামো ও দ্রুত গতির পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে। শিল্পসম্ভাবনা উজ্জ্বল এমন জায়গাগুলিতে উন্নত রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ করা হবে। দ্রুত পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে জোর দেওয়া হবে সড়ক, রেল ও জলপথের সমন্বয়ের ওপর। লজিস্টিকস ক্ষেত্রে কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন বাংলা থেকে আমেরিকায় রফতানি বেড়েছে দেড়গুণেরও বেশি
বিশ্বব্যাঙ্কের পাশাপাশি ADB-ও বাংলায় নিজে থেকেই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই সূত্রেই গতকালের বৈঠকে এডিবির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে রঘুনাথপুর-তাজপুর, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম এবং শিলিগুড়ি-কোচবিহার ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব এসেছে। অন্য মজুত ও সরবরাহ পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশ্ব ব্যাঙ্ক সহজ শর্তে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার ঋণ দেবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সামাজিক এবং আর্থিক প্রভাব বা Social and Economic Impact রিপোর্টও আলোচিত হয় গতকালের বৈঠকে। রিপোর্ট তুলে ধরে রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ADB’র প্রতিনিধিরা। ফলে এই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে টাকা আসা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজ্যের পদস্থ কর্তারা। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে রাজ্যের শিল্পক্ষেত্রে এই দুই আন্তর্জাতিক সংস্থা যুক্ত হওয়াটকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।