নিজস্ব প্রতিনিধি: এ যেন হড়পা বানে পদ্মশিবিরে ভাঙন। রাজ্য জুড়ে পদত্যাগ করেছেন একের পর এক বিজেপি (BJP) নেতা। ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে বিজেপি। বিদ্রোহীদের অভিযোগের গুচ্ছ তির জেলা সভাপতিদের দিকে। আর বিদ্রোহ চাপতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পদ্ম শিবির। তবু পদত্যাগের হিড়িক কমছে না।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সাংগঠনিক জেলার কমিটি (District Committee) থেকে পদত্যাগের (Resign) খবর এল আবার। পদত্যাগ করেছেন আরও ৫ সদস্য। বিক্ষুব্ধরা অভিযোগের তিরে বিদ্ধ করেছেন সাংঠনিক জেলার কার্যকরী সভাপতি তাপস মিত্রকে। যদিও তা মানতে নারাজ জেলা সভাপতি।
মানতে চান বা না চান, তবে বিদ্রোহীরা ইস্তফা দিয়েছেন রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে। তাঁদের অভিযোগ, দলের পুরানো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সামনে রাখা হচ্ছে দলে যোগ দেওয়া নতুন কর্মীদের। অভিযোগ, জেলা সভাপতি পুরানোদের সরিয়ে মণ্ডল সভাপতি, ব্লক সভাপতি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব দিচ্ছেন নতুনদের। স্বজনপোষণের অভিযোগও তোলা হয়েছে। পুরানো কর্মীদের উপযুক্ত সম্মান না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন ওই ৫ বিক্ষুব্ধ নেতা। উল্লেখ্য, নব্য- পুরানো সম্মান নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে।
প্রসঙ্গত, জেলা কমিটিতে ছিলেন ৬৯ জন। বিক্ষুব্ধ হয়ে ১৫ জন সদস্য পদত্যাগ করেন আগেই। তারপর ফের পদত্যাগ করলেন আরও ৫ জন। মানে, এক সপ্তাহে জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ২০ জন। যদিও জেলা সভাপতির দাবি, তিনি কোনও পদত্যাগপত্র পাননি। তিনি এও বলেন, এভাবে পদত্যাগ করাকে দলের সংবিধান মান্যতা দেয় না। তাঁর দাবি, পদত্যাগীদের মধ্যে ২ সদস্য পরবর্তীকালে হোয়াটসঅ্যাপ করে ইস্তফা প্রত্যাহার করেছে।
বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে জেলা সভাপতির। তাঁদের আরও অভিযোগ, ‘কামিনী কাঞ্চন’ এবং টাকার বিনিময়ে জেলা সভাপতি নিজের পছন্দের লোকদের পদ বিলি করছেন। উল্লেখ্য, পামেলা গোস্বামী যুব মোর্চা বিজেপি নেত্রীকে কামিনী কাঞ্চন বলে কটাক্ষ করা হয়। তিনি মাদক পাচার কাণ্ডে জামিন পেয়েছেন মাত্র কিছু দিন আগে। রবিবার অশোকনগরের বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পদত্যাগ করেন বিক্ষুব্ধরা।