নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করার দিনই প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পান প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠি হাতে পাওয়ার পড়েই তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার। চিঠিটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা আলাপনের স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্পিড পোস্টে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে প্রেরকের নাম হিসেবে রয়েছে জনৈক গৌরহরি মিশ্রের। প্রযত্নে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কেমিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের মহুয়া ঘোষ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গৌরহরি ওই বিভাগের ল্যাবরেটরির কর্মী। পুলিশের অনুমান কাজের জায়গায় ব্যক্তিগত রোষের জন্যই এই হুমকি চিঠি। যদিও এমন কোনও চিঠি পাওয়ার কথা বারবার অস্বীকার করেছেন সোনালি চক্রবর্তী।
রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত, সেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আলাপনের স্ত্রী সোনালি। পুলিশের অনুমান পেশাগত সমস্যার কারণেই উপাচার্যের স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন জনৈক গৌরহরি ঘোষ। তবে লালবাজার ঘটনার তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। খোঁজ শুরু হয়েছে জনৈক গৌরহরি ঘোষের। খুনের হুমকি দেওয়া চিঠির একটি প্রতিলিপি রাজাবাজার সায়েন্স কলেজে পাঠাচ্ছে পুলিশ। যাতে সেই চিঠির সূত্র ধরে প্রেরকের সন্ধান করা যায়। তবে পুরো নামটাই ভুয়ো বলেই মনে করছে পুলিশ। তাই অন্যভাবে তদন্ত করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার পাওয়া চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, ‘আপনার স্বামী নিহত হবেন। কেউ আপনার স্বামীকে বাঁচাতে পারবে না।’ কিন্তু সেই চিঠির কথা অস্বীকার করেছেন সোনালি চক্রবর্তী। চিঠিটি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। লালবাজারেও রয়েছে সেই চিঠির একটি কপি, যার ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। মঙ্গলবারই সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ক্যাট)-এর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে।