নিজস্ব প্রতিনিধি: বাড়িতে একাই থাকতেন ৭০ বছরের সিক্তা চট্টোপাধ্যায়। রবিবার মাঝরাতে প্রতিবেশীরা দেখেন বাড়ির দরজা খোলা এবং ঘরে আলো জ্বলছে। কিন্তু ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি বৃদ্ধার। আর তারপরেই ঘরের ভিতরে ঢুকে চমকে যান প্রতিবেশীরা। দেখেন কেউ বা কারা বৃদ্ধাকে খুন(Murder) করে চলে গিয়েছে। গোটা ঘর তছনছ। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। মুহুর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার ব্যারাকপুর মহকুমার ইচ্ছাপুর(Icchapur) এলাকায়। এলাকাবাসীর অনুমান, দুষ্কৃতীরা লুটের উদ্দেশ্যেই মাঝ রাতে বৃদ্ধার বাড়িতে চড়াও হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ করায় বাড়ির ভিতরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।
ঘটনার জেরে রবিবার মাঝরাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে উত্তর ব্যারাকপুর(North Barracpur) পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। কেননা সেখানেই বাড়ি সিক্তাদেবীর। স্থানীয় বাসিন্দারাই রাতে খবর দেন পুলিশকে। সেই সঙ্গে খবর যায় পুণাতে থাকা সিক্তা দেবীর একমাত্র মেয়েকেও। খবর পেয়ে পুলিশ(Police) এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অনুমান, যারা এসেছিল তাদের মধ্যে কেউ সিক্তাদেবীর পরিচিত। সেই কারনেই সম্ভবত রাতে বাড়ির দরজা খুলে দিতে দ্বিদ্ধাবোধ করেননি ওই বৃদ্ধা। কিন্তু তার পরিণাম কী হবে সেটা খুব একটা খতিয়ে দেখেননি। চেনা-পরিচিতর গলাশুনেই কোনও প্রশ্ন না করে দরজাটি খুলে দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপরই তারা লুট করার চেষ্টা করে। তাদের রুখতে গিয়েই সম্ভবত প্রাণ হারান সিক্তাদেবী। তবে কীভাবে তিনি খুন হন, সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ।
বৃদ্ধার ভাই অমল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘দিদির মেয়ে পুণেতে থাকেন। এই বাড়িতে দিদি একাই থাকতেন। প্রতিবেশীরাই ফোন করে আমাকে খুনের খবর জানান। তবে ঘরের মধ্যে যে আলমারিটি খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল সেটা বন্ধ করা যেত না। চুরির উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছে দিদিকে। আগেও দিদির বাড়িতে চুরি হয়েছিল। সেই কারণে আলমারির সব দামি জিনিস পুণেতে মেয়ের কাছেই রেখে এসেছিলেন দিদি।’ পুলিশ আবার মনে করছে, চুরি করতে এসে কিছু না পেয়েই বৃদ্ধাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে।