এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাজ্যে Fake Caste Certificate খুঁজতে Additional Inspector নিয়োগ

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গ থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। জানিয়েছিলেন, ‘অনেক ভুয়ো সার্টিফিকেট হয়েছে আদিবাসীদের নাম নিয়ে। আমরা সেগুলি রিভিউ করে দেখছি। অনেক কার্ড বাতিল করা হয়েছে। আপনাদের অধিকার যাতে কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেটা আমরা লক্ষ্য রাখছি। অনেক কার্ড বাতিল করা হয়েছে। আগামীদিনে রিভিউ করে বাকি ভুয়ো কার্ড বাতিল করে দেওয়া হবে।’ সেই হুঁশিয়ারি যে মিথ্যা নয় তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করে দিয়েছে। জেলায় জেলায় ভুয়ো বা Fake Caste Certificate খুঁজতে এবার Additional Inspector নিয়োগের পথে হাঁটা দিল রাজ্য প্রশাসন। প্রতিটি জেলায় প্রতি ব্লক পিছু একজন করে Additional Inspector নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে সারা রাজ্যে আড়াইশোর কাছাকাছি Additional Inspector নিয়োগ হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের(Department of Backward Classes Welfare) মাধ্যমেই Additional Inspector নিয়োগের পথে হাঁটা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এই মর্মে ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে। এদের কাজই হবে এখনও পর্যন্ত যত Fake Caste Certificate ইস্যু হয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখা এবং যেগুলি ভুয়ো সেগুলি বাতিল করা। রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও পুরসভায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগ আছে। সেখানে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের Inspector’রা জাতিগত শংসাপত্র বা Caste Certificate’র জন্য আবেদন যাচাই করেন। ওই কাজে চাপ বেড়ে যাওয়ায় ২০০৮-’০৯ সাল থেকে Additional Inspector পদ তৈরি করে নিয়োগ হয়। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের(Retired Employees) থেকেই ওই নিয়োগ হয়। মহকুমা শাসক, ব্লক এবং পুরসভায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ অফিসে তাঁরা বসেন। তাঁরাও আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ করেন। ওই কাজে গাফিলতি হলে ভুয়ো কার্ড বা Fake Caste Certificate ইস্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবেদনকারীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করে Additional Inspector-রা ভুয়ো কার্ড তৈরিতে সহযোগিতা করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।     

জানা গিয়েছে, এই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ঘিরে ব্যবসা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারের তফশিলি বন্ধু প্রকল্প। কেননা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপশিলি জাতির ৬০ বছরের বেশি মানুষেরা ১০০০ টাকা করে প্রতি মাসে পেনশন পান। তাছাড়া নানা সরকারি চাকরি ও নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতেও এই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করা হয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন যে Additional Inspector নিয়োগ করা হচ্ছে সেই পদগুলি পূরণ করা হবে অবসরপ্রাপ্ত অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ বিভাগের ইন্সপেক্টর, সরকারি দফতরের এক্সটেনশন অফিসার, হেডক্লার্ক এবং আপার ডিভিশন ক্লার্কদের থেকে। প্রতি মাসে তাঁদের ১২হাজার টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে। অভিজ্ঞতা থাকায় অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের অবসরপ্রাপ্তরা নিয়োগে অগ্রাধিকার পাবেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হোটেল থেকে জখম অবস্থায় উদ্ধার রূপান্তরকামী মহিলা

‘রাজভবনে ডাকলে আর যাব না, আপনার পাশে বসাও পাপ!’, সরব মমতা

কলকাতা সহ ৩ জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

বেসরকারি বাসে টাঙাতে হবে ভাড়ার সুস্পষ্ট তালিকা, নির্দেশ আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের

নওশাদের জমি কাড়তে এবার ভাঙড়ে জনসভা অভিষেকের, ত্রস্ত আইএসএফ

দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবতী ও তার বন্ধুর ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর