নিজস্ব প্রতিনিধি: শহর কলকাতার(Kolkata) পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা নদী। সেই নদীর নিচ দিয়েই সুড়ঙ্গ পথে দুই পাড়কে জুড়ে দিচ্ছে East West Metro। সেই মেট্রো চড়ে হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে বিবাদি বাগ, ধর্মতলা, শিয়ালদা ছুঁয়ে চলে আসা যাবে সেক্টর ফাইভে। এই মেট্রো রুটের শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভের অংশ ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে হাওড়া ময়দান ও ধর্মতলার অংশেরও। খালি এখনও নির্মাণকাজ চলছে ধর্মতলা থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত অংশের। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই লোকসভা নির্বাচনের আগে পরে করেই হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত অংশে মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। সেই অংশেই থাকছে গঙ্গার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ। এবার সেই সুড়ঙ্গ(Tunnel) পার হতে গিয়ে মেট্রোর যাত্রীরা যাতে বুঝতে পারেন যে ট্রেন গঙ্গার(Ganges) নীচ দিয়ে যাচ্ছে তার জন্য সেই সুড়ঙ্গে Aquarium Effect আনা হচ্ছে। আপ ও ডাউন দুটি লাইনের সুড়ঙ্গেই থাকছে সেই বিশেষ প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা।
জানা গিয়েছে, গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চড়ার অনুভূতি কেমন হবে তা নিয়ে অনেক মানুষেরই কৌতুহল তুঙ্গে রয়েছে। যদিও গঙ্গার জলস্তরের থেকে ৩৩ মিটার নিচে তৈরি হওয়া দুই সুড়ঙ্গেই আদতে বোঝা সম্ভব নয়, ওপরে ঠিক কী রয়েছে। ঠিক যেমনটি কলকাতার দমদম থেকে টালিগঞ্জ অংশে বোঝা যায় না সুড়ঙ্গের ওপরে ঠিক কী রয়েছে। সেই রকমই East West Metro’র সুড়ঙ্গেও তা বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু যেহেতু দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও নদীর নীচ দিয়ে মেট্রো রেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাও আবার গঙ্গা, তাই East West Metro কর্তৃপক্ষ চাইছে এই অংশের যাত্রা যেন সকল যাত্রীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকে।
তাই গঙ্গার নীচে থাকা East West Metro’র আপ ও ডাউন দুটি সুড়ঙ্গেই ৫২০ মিটার করে অংশে বিশেষ প্রযুক্তিগত অনুভূতি আনা হচ্ছে। সুড়ঙ্গ দুটিকে নীল আলোয় যেমন সাজিয়ে তোলা হচ্ছে তেমনি ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীদের এই অংশটি পার হওয়ার সময় মনে হবে তাঁদের পাশ দিয়ে জলস্রোত বয়ে চলেছে। খেলা করছে মাছেরা। যদিও সেই অনুভূতি মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের জন্য থাকবে। কেননা মেট্রোয় চড়ে গঙ্গা পার হতে ওইটুকুই সময় লাগবে। নীল আলোর সঙ্গে স্রোতের শব্দ আর পাশে খেলে বেড়াবে আলোর মাছ। এই স্মৃতি, অনুভবের আস্বাদ নিতে শহরে যে ভিন রাজ্যের পর্যটকেরাও ভিড় জমাবেন সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।