নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গমের পর এবার ধান চুরি তদন্তে নাম জড়াল বাকিবুর রহমানের। বুধবার আদালতে হাজির করানো হয় রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানকে। সেখানেই ইডি দাবি করেন ভুয়ো শিবির করে ভুয়ো চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনতেন বাকিবুর রহমান। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবী সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালতে তরফে বাকিবুরকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, বাকিবুর জেরায় স্বীকার করেছে, মিল মালিকদের একটা বড় অংশ গোপনে সরাসরি এজেন্ট মারফত কম দামে কৃষকদের থেকে ধান কিনে নিত। তারপর বিভিন্ন কৃষকদের নামে সেগুলি সমবায় সমিতিতে জমা করতো। ধান জমা পরার পর মিল মালিকদের দেওয়া ভুয়ো কৃষকদের নাম এবং একাউন্ট নাম্বারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে যেত। তবে ইডি দাবি করেছে শিবির না করে সরাসরি কৃষকদের থেকে কম দামে ধান কিনতেন বাকিবুর এবং তাঁর মতো মিল মালিকেরা।
এইভাবেই সরকারি আধিকারিকদের নজর এড়িয়ে চলত এই কাজকর্ম। এবার তা নিয়েই রাজ্যের খাদ্য দফতরকে চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উল্লেখ্য , রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সন্দেহে ১১ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার বাকিবুর রহমানের কৈখালির ফ্ল্যাটে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। প্রায় ৫৪ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি শেষে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথির ভিত্তিতে তাঁকে আটক করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পরে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরকে। তাঁকে গ্রেফতারির পরেই রেশন দুর্নীতি নিয়ে উঠে এসেছে একের পর এক তথ্য।