নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে নির্লজ্জ নোংরামির অভিযোগে আগেই বিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলার ‘নব্য ছোটলাট’ সি ভি আনন্দ বোস। আর এবার নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। যদিও নবান্নের শীর্ষ মহলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘কে মন্ত্রিসভায় থাকবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার মুখ্যমন্ত্রীর। রাজ্যপালের কোনও অধিকারই নেই এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে। নিজের অধিকার সম্পর্কে আগে অবহিত হোন রাজ্যের তথাকথিত সাংবিধানিক প্রধান।’
রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে আসার পরেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়েছেন সিভি আনন্দ বোস। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই সঙ্ঘাত তীব্র থেকে তীব্তর হয়েছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ না করে বিজেপিপন্থীদের নিয়োগ নিয়ে দু’জনের মধ্যে সঙ্ঘাত শীর্ষ আদালতে গড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেই রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করা হয়। তাতে লেখা ছিল, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। ওই পোস্ট নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। বেলা গড়াতেই লক্ষ্য করা যায়, সুড়সুড় করে রাজভবনের ওই পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে।
রাতে এক সংবাদ সংস্থা রাজভবনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে ব্রাত্য বসুকে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য নবান্নে সুপারিশ পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। আর ওই খবর রটে যেতেই ফের শোরগোল বেঁধে যায়। আর যাঁকে সরানোর সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সেই ব্রাত্য বসু তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘নিজেকে হাসির খোরাক করে ফেলেছেন রাজভবনে থাকা অ্যালজাইমার্স রোগী। । আমি কোনও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে থাকলে তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে যে কোনও রাজনৈতিক দলের। কিন্তু রাজ্যপাল এমন একটি অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন। ‘