নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে রাজ্যের ৩টি আর্থসামাজিক প্রকল্প নিয়ে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এই ৩ প্রকল্প হল – লক্ষ্মীর ভান্ডার(Lakhir Bhandar), জয় জোহর(Joy Johar) ও কৃষকবন্ধু(Krishak Bandhu)। এবার এই ৩ প্রকল্পের ক্ষেত্রে টাকার জোগান যাতে আরও সুসংগতভাবে হয় সেই জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরকে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার জেরেই এই তিনটি আর্থসামাজিক প্রকল্পের অর্থ উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর জন্য আর অর্থ দফতরের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কেননা এতদিন দেখা যেত, রাজ্যের অর্থ দফতরের অনুমোদন পেতে যদি দেরি হত সেক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ক্ষেত্রে সামান্য দেরী হচ্ছিল। এবার থেকে সেই দেরী আর হবে না। এই প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে টাকা পাঠানোর জন্য রাজ্যের অর্থ দফতরের(West Bengal State Finance Department) অনুমতির প্রয়োজন পড়ত। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি থেকে অর্থ দফতরে ফাইল আসতে কিছুটা দেরি হয়। কিন্তু, যাতে সময়ে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য এবার বড় পদক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, এই প্রকল্পগুলির জন্য যে ট্যাক্স বরাদ্দ করা হয় তা অর্থ দফতরের একটি বিশেষ শাখার অনুমোদন সাপেক্ষে প্রকল্পগুলির সংশ্লিষ্ট দফতরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছয় সেই অর্থ। এবার থেকে গ্রুপ টি-র অনুমোদন ছাড়াই সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে। এরপর যারা ওই প্রকল্পগুলির গ্রাহক তাঁরা সেই টাকা পাবেন। সম্প্রতি রাজ্যের অর্থসচিব এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশ জারি করেছেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা যাবতীয় আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলির মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়াও আদিবাসী সমাজে জয় জোহর এবং কৃষকদের মধ্যে কৃষকবন্ধুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু দেখা যেত এই ৩ প্রকল্পের উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই ঠিক সময়ে টাকা পেতেন না। টাকা পেতে কিছুটা দেরী হতো। সেই দেরী আর হবে না।