নিজস্ব প্রতিনিধি: এক দশক এখনও পার হয়নি। ৮ বছর আগে বিধাননগর পুরসভাকে পুরনিগমে উন্নিত করা হয়। সেই সময় রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এলাকাকে এই পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতকেও যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু মূল বিধাননগর এলাকার সঙ্গে পরবর্তীকালে সংযোজিত রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এবং মহিষবাথান-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে প্রায়ই বৈষম্যের অভিযোগ উঠে। এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে বিধাননগর পুরনিগম(BMC) কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা পুরনিগমের ২২ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের(Drinking Water Supply System) উদ্যোগ নিয়েছেন। একই সঙ্গে জল যাতে অপচয় না হয়, এবং দিনে কত পরিমাণ পানীয় জল ব্যবহার হচ্ছে, তা জানতে ওই ৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে বসতে চলেছে Water Meter।
আরও পড়ুন মধ্য রাতে বড় দুর্ঘটনা দমদম পার্কে, জীবন কাড়ল ৫জনের
বিধাননগর পুরনিগম মূলত ৩টি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। তারমধ্যে একটি হল রাজারহাট – গোপালপুর পুরসভা। পুরনিগমের ১ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এই এলাকাতেই রয়েছে। মহিষবাথান -২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড। মূল বিধাননগর এলাকায় রয়েছে পুরনিগমের ২৮ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড। এই পুরনিগম গড়ে ওঠার আগে মূল বিধাননগর এলাকায় প্রায় সমস্ত মানুষই পরিস্রুত পানীয় জলের সুবিধা পান। কারণ সেখানে বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পাঠানোর পরিকাঠামো বহু আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু এই সুবিধা ছিল না রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার। সেখানে পানীয় জল সরবরাহের কোনও পরিকাঠামোই ছিল না। সেখানকার মানুষজন ভূগর্ভস্থ পানীয় জল পান করেন। বহু বাড়িতে নিজস্ব সাবমার্সিবলও রয়েছে। সেটাই পানীয় জলের উৎস। মহিষবাথান বা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডেও একই গল্প। এমনকি এই সব এলাকা পুরনিগমের অংশ হওয়ার পরেও ছবি বদলায়নি।
আরও পড়ুন জগৎবল্লভপুরে ISF দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত TMC
কিন্তু এবার সেই ছবি বদলাতে চলেছে। ইতিমধ্যেই পুরনিগমের তরফে ২২ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অনেকটা অংশকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। এবার ওই এলাকাতেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের ‘অম্রুত-২’ প্রকল্পে টাকা মঞ্জুর হওয়ার পরই ওই কাজ শুরু হবে। তার জন্য প্রশাসনিক সমস্ত প্রস্তুতি চূড়ান্ত। মাস কয়েকের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। পুরনিগমের দাবি, ২২ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরিস্রুত পানীয় জলের পাইপলাইন পাতা হয়েছে। তাতে অনেক মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন। যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁদেরও সংযোগ দেওয়া হবে। কত গ্রাহক বাকি আছে, তার একটা সমীক্ষাও করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সংযোগের সময়ে প্রতিটি বাড়িতে Water Meterও বসানো হবে। এ ব্যাপারে পুরনিগম উদ্যোগ নিয়েছে। তবে জলের জন্য কোনও কর বা Tax দিতে হবে কিনা তা এখনও ঠিক করা হয়নি।