নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গোপনীয়তা রক্ষার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এই মামলায় ইডি ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিলেন। এই নির্দেশেই ক্ষমতা বেধে দিলেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের শর্ত, এবার থেকে সার্চ অ্যান্ড সিজারের সময় লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবেনা। অভিযানের আগে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারবেন না ইডি আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে কোনও তল্লাশি অভিযান করা যাবে না। সার্চ এন্ড সিজারের বিষয়ে আগে থেকে কোনও রকম তথ্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না। সংবাদমাধ্যমে কোন খবর করলে সেখানে অভিযুক্তর ছবি ব্যবহার করা যাবে না। কোনও কেসের চার্জশিট এর নাম আসার আগে পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করা যাবে না। সন্দেহ ভাজনের ছবি প্রকাশ করতে পারবে না । তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের ব্যাপারে কোনও খবর ফাঁস করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত নিয়ে একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচারে নিয়ন্ত্রণ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে এবং তাঁর স্বামী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জড়িয়ে তদন্তকে ঢাল করে মিথ্যা ও অর্ধ সত্য খবর প্রকাশ করে চলেছে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। ফলে তাঁদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওই আবেদনের শুনানিতেই বুধবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত। সেই সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের বিরোধিতা করে কেন রুজিরা আদালত অবমাননার মামলা করছেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন।
রুজিরার মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “একটা সাংবিধানিক আদালত যদি সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে থাকে তাহলে সেটা গণতন্ত্রের জন্য ভাল ব্যবস্থা নয়। তবে সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালান্স থাকা উচিত। সেটা দেখতে হবে।”