এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিবিআই-য়ের ভোলবদল, হাতে নিতে নারাজ তদন্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলায় একের পর এক ঘটনায় আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই(CBI)। তার মধ্যে যেমন বকটুই গণহত্যাকাণ্ড রয়েছে তেমনি রয়েছে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনাও। আছে সারদা ও নারদার মামলাও। আছে গরুপাচার, কয়লাপাচার, এসএসসি’র দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাও। এই সব মামলা ছাড়াও রাজ্যের শিশু পাচার চক্রের তদন্তের দায়িত্বও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়েছিল। অথচ সেই মামলাই এখন আর নিতে চাইছে না সিবিআই। আর তার জেরেই বাংলার রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেননা এই শিশু পাচার(Child Trafficking) চক্রে নাম জড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির(BJP) একাধিক নেতানেত্রীর। এমনিতেই সিবিআই-কে বিরোধীরা বার বার ‘কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের তোতাপাখি’ বলে আক্রমণ করে। এবার শিশু পাচার চক্রের তদন্তের দায়ভার সিবিআই নিতে না চাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির নেতাদের বিষনজরে পড়ার ভয়েই কী এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তদন্ত হাতে নিতে চাইছে না সিবিআই! নাকি বিজেপি নেতাদের নামে থাকা মামলা যাতে বেশি গুরুত্ব না পায় তার জন্য এহেন সিদ্ধান্ত।

রাজ্যে শিশুপাচার চক্রের ঘটনায় এখন তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। তাতে নাম জড়িয়েছে একাধিক বিজেপি নেতানেত্রীর। সেই তদন্ত রাজ্য পুলিশের হাত থেকে কেড়ে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলারই শুনানি ছিল সাম্প্রতিককালে। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা এই মামলা গ্রহণ করতে চান না। রাজ্য পুলিশ যেমন এই ঘটনার তদন্ত করছে তেমনই তদন্ত করুক। রাজ্য পুলিসই তদন্ত করে সমাধানে পৌঁছতে সক্ষম। এমনটাই আদালতকে জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। আর তার জেরেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কী কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্যই সিবিআই এহেন সিদ্ধান্ত নিল? কেননা তদন্তে নেমে যদি কোনও বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করতে হয় তাহলে পদ্মশিবিরের মহান নেতাদের রোষানলে পড়তেই পারেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই বিষয়টি এড়াতেই কী সিবিআই আধিকারিকদের এহেন সিদ্ধান্ত!

উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন হুগলি জেলার আরামবাগের বাসিন্দা সুভাষ লাহা। যে বিষয়কে কেন্দ্র করে তিনি এই মামলা দায়ের করেন তা ছিল তাঁরই পুত্রবধূর সন্তান সম্পর্কিত। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর পুত্রবধূ আরামবাগের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে এক সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায় শিশুটি অপরিণত ছিল এবং পরে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়নি। এ নিয়ে তিনি আরামবাগ থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকতে বাধ্য হয়েছেন। হাইকোর্ট ওই ঘটনায় ডিআইজি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। তাই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সুভাষবাবু ফের আদালতের যান। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে সেই মামলাতেই সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ধীরজ ত্রিবেদী রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থার কথা শোনান।অযা শুনে মামলাকারীর আইনজীবী নীলাদ্রি শেখর ঘোষের দাবি, তদন্তকারী সংস্থার তরফে এমন সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’ রাজ্যপাল বোস

অভিজিতের এফআইআর খারিজের আর্জি শুনবেন বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষ

‘সত্যের জয় হল’, জেল থেকে বেরিয়ে বললেন জীবনকৃষ্ণ সাহা

বেআইনি নির্মাণে মিলবে না পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থা, নয়া নির্দেশ কলকাতা পুরসভার  

রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী

গ্রেফতারির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালির পিয়ালি দাস

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর