এই মুহূর্তে




কলকাতায় থাকা বাংলাদেশি গুপ্তচরদের খোঁজ শুরু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের




নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরেই দেশে থাকা পাক গুপ্তচরদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমে পড়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা-সহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। গত তিন দিনে জনপ্রিয় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা সহ ১১ জনকে জালে পুরেছে। পাক গুপ্তচরদের পাশাপাশি এবার বাংলাদেশি গুপ্তচরদের খোঁজখবরও শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক সাংবাদিক সহ বেশ কয়েকজনের উপরে বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঘন-ঘন যাতায়াতকারীদের উপরেও বিশেষ নজর রাখতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে গত ৯ মাসে কারা ঢাকা-সহ বাংলাদেশে একাধিকবার গিয়েছেন তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরেই সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ পদগুলোতে পাকিস্তানপন্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা বাংলাদেশি গুপ্তচরদের মাধ্যমে এখানে নতুন করে জাল বিছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যা অশনিসঙ্কেত। তাই বাংলাদেশি গুপ্তচরদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।’

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারিতেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চার শীর্ষ আধিকারিক বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব সারোয়ার আলমের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। এক সময়ে তৌহিদ হোসেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত এবং সারোয়ার আলম দ্বিতীয় সচিব (তথ্য) হিসাবে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন  কলকাতায় থাকার সুবাদে এখানে সাংবাদিক-সহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁদের। সেই পুরনো সম্পর্ক ফের ঝালিয়ে তাদের গুপ্তচর হিসাবে কাজে লাগানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি ভুঁইফোড় সংগঠনের পদাধিকারীদেরও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতায় নতুন করে গুপ্তচর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের এক আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই আধিকারিক গত তিন মাস ধরে সন্দেহভাজন একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। বাংলাদেশ সরকার গুপ্তচর অর্থের পাশাপাশি বিদেশি মদ ও মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ-ব্যাঙ্কক ভ্রমণের সুযোগ করে দিচ্ছে।

ইতিমধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দর ও পেট্রাপোল সহ বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে কত ভারতীয় গত ৯ মাসে বাংলাদেশে গিয়েছেন, কত বার ভ্রমণ করেছেন এই সংক্রান্ত তথ্য অভিবাসন দফতর থেকে সংগ্রহও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কলকাতা-সহ বাংলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকা বাংলাদেশি পড়ুয়াদের নিয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন। ফেসবুক-সহ সমাজমাধ্যমে কারা অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করছে, কাদের পোস্ট বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিমান দুর্ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি ফিরহাদের

কালীঘাটে সোনার দোকানের কারিগরকে প্রকাশ্য রাস্তায় ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন

মন্দারমণিতে হোটেল ভাঙায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি

হুমায়ুনকে শেষ বারের জন্য সতর্ক করল দল, ফের শোকজ পেয়ে কী বলছেন মমতার ‘বেপরোয়া’ শিষ্য

রাজ্যে কত লক্ষ্মীর ভান্ডার? খরচ কত? বিধানসভায় জানাল রাজ্য সরকার

পাক নাগরিক আজাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ