নিজস্ব প্রতিনিধি: অতিমারির পরে এরকম জনস্রোত দেখা গিয়েছিল দুর্গাপুজোর সময়। তার ওপরে বাড়তি আনন্দ ছিল কলকাতার দুর্গাপুজোয় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। পুজোর অনেক আগে থেকেই দেখা গিয়েছিল জনস্রোত। পুজোর দিনে সেই ভিড় জমেছিল আরও। আবার সেই ছবিই দেখা গেল একমাস পেরোতেই। ‘ডিসেম্বরের শহরে…’ বড়দিনের (CHRISTMAS DAY) আগে দেখা গেল সুনামী আর সেলফি’র ঝলক।
করোনার নয়া সাব ভ্যারিয়েন্ট এখনও প্রভাব ফেলেনি বাংলায়। বড়দিনের বাকি মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তবে সন্ধ্যা থেকেই ভিড় জমতে দেখা গেল পার্ক স্ট্রিট, আলেন পার্ক, বো ব্যারাকে। অবশ্য উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল আগে থেকেই। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চলছে খ্রিস্টমাস ফেস্টিভ্যাল।
এদিন পার্কস্ট্রিট চত্ত্বর জুড়ে দেখা গেল আলোর ফোয়ারা। প্রবল জনসমুদ্রের মাঝে দেখা পাওয়া গেল সান্তাক্লজের। একটা নয়, অনেক অনেক সান্তাক্লজ। কারও মুখে প্লাস্টিকের ভেঁপু। যারা ভিড় জমিয়েছেন তাঁদের অনেকের মাথাতেই সান্তা টুপি। আর একটানা বেজে চলেছে ‘জিঙ্গেল বেল’। তাতে মজেছে হাত-পা- মাথা।
আলোয় যেন উজ্জ্বল থেকে আরও উজ্জ্বল হয়েছে পার্কস্ট্রিট। টুনি বাল্ব থেকে বাহারি আলো, মাথার ওপরে বড় তারা, ঘণ্টা। কোথাও লেখা মেরি খ্রিস্টমাস আবার কোথাও লেখা ‘জেসাস’। বিভিন্ন জায়গায় ফুটে উঠেছে যীশু’র জন্মগ্রহণের মুহূর্ত। তারই মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে বাইবেল, চকোলেট, উপহার। বিকোচ্ছে কেক, বেলুন। কারও হাতে কার্ড, কারও হাতে ফুল, কারও চোখে ফেস্টিভ্যাল পার্টি গগলস, কারও বা চলছে মুখ। আর রাত হলেই এখানেই শোনা যাবে গির্জার ঘণ্টা আর ক্যারল। তবে এত কিছুর মাঝেও বহু উৎসাহীর ভিড়ে দেখা গেল কেউ কেউ ব্যবহার করছেন মাস্ক, স্যানিটাইজার।