নিজস্ব প্রতিনিধি: মিধিলি ধাক্কা দিয়েছে ওপার বাংলায়(Bangladesh)। বেঁচে গিয়েছে এপার বাংলা(West Bengal)। কিন্তু এবার আবারও এক ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে চলতি মাসেরই শেষ দিকে। থাইল্যান্ড উপসাগরে(Gulf of Thailand) একটি ঘূর্ণাবর্ত থেকে তা জন্ম নিতে চলেছে। একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ড উপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণাবর্ত চলতি মাসের ২৮ তারিখ হাজির হবে বঙ্গোপসাগরে(Bay of Bengal)। সেখানেই সে শক্তি বাড়িয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে অতি গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে। ৩০ তারিখ নাগাদ তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে বলেই তাঁরা জানিয়েছে। যদিও সেই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ কী হবে তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর উপকূলকেই চিহ্নিত করা হয়েছে আঘাত হানার স্থান হিসাবে। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে তা তৈরি হলে তার নাম হবে মিগজুয়াম(Michaung)।
সাধারণত শীতকালে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়। তাই এই সময় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা থাকে। দিল্লির মৌসম ভবনও জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে এখন ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিবেশও রয়েছে। অতীতে নভেম্বর মাস তো বটেই ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরির ইতিহাসও রয়েছে। যদিও মৌসম ভবনের দাবি, মঙ্গলবার পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় তৈরির কোনও সম্ভাবনা তাঁরা দেখতে পাননি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরও জানিয়েছে, এরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে মার্কিন একটি সংস্থা জানিয়েছে, মিধিলির পরে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিতে চলে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ হবে তামিলনাড়ুর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকা। বাংলা বা ওড়িশায় এই ঘূর্ণিঝড়ের সেভাবে কোনও প্রভাব পড়বে না।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ড উপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণাবর্তটি ২৫ তারিখ আন্দামান সাগরে পা রাখবে। যেহেতু দীর্ঘ পথ পেরিয়ে সে বঙ্গোপসাগরে পা রাখবে তাই তার জলীয় বাষ্প টানার ক্ষমতাও অনেকটাই বেড়ে যাবে। ২৮ তারিখ সে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে এবং পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমার এই দেশের উপকূলেই সে আছড়ে পড়বে। উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু জোরদার হলে সে দক্ষিণ ভারতের দিকে চলে যাবে। অন্যথা সে এগিয়ে আসবে পূর্ব ভারতের উপকূলের দিকে। সেক্ষেত্রে সে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে ওড়িশার গোপালপুরের মধ্যেই আঘাত হানবে। ল্যান্ডফলের সময় তার গতিবেগ ১০০ থেকে ১২০কিমির আশেপাশে থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে।