নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে নিযুক্ত হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার তাঁর সংবর্ধনা সভায় কার্যত দলের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেই নিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০২১- ২০০ আসনের স্বপ্ন অধরা থেকে গেলেও কিছুতেই হার স্বীকার করছিলেন তিনি। কিন্তু দেখন সভাপতি পদ খুইয়ে বিজেপির ডুবন্ত অবস্থা দেখে সত্যিটা স্বীকার করেই নিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
দিলীপ বাবু এদিন জানিয়েছেন, ‘আমরা রাজ্যবাসীকে বিশ্বাসই করাতে পারিনি যে আমরা রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে পারি। রাজ্যের মানুষ ভেবেছে বিজেপি ১৫০ আসন পাবে না। ওঁরা ১০০ আসন পাওয়ার মতো দল। তাই আমাদের সরকারে আনেনি। বিরোধী আসনে বসিয়েছে। বিরোধী আসনে থেকেও মানুষের কাজ করা যায়। আমাদের এখন সেটাই করতে হবে।’ দিলীপ বাবু তো বটেই এতদিনে বোধোদয় হয়েছে মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রের। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও এই সভায় বিধানসভায় ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে তেড়েফুঁড়ে প্রচার করা সত্ত্বেও বিজেপি পিছিয়ে পড়ছে একটাই কারণে। সেটা হল বুথস্তরের সংগঠন। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে হলে বুথস্তরের সংগঠন নিয়ে কাজ করতে হবে। হয়ত ১২ হাজার বুথে সেভাবে সংগঠন শক্ত করার সম্ভব নয়। কিন্তু বাকি বুথগুলিতে সংগঠনের কাজ করতে হবে।’
বিরোধী দলনেতা কিংবা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিরা শুক্রবার নব্য প্রেসিডেন্টকে কিছু পরামর্শ দেন। সুকান্ত বাবুকে বলা হয়েছে, ‘গোষ্ঠী ভুলে খোলা মনে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। শুধু মুখে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার কথা বললে হবে না। কাজের ক্ষেত্রেও সেটা করে দেখাতে হবে। নতুন-পুরনো সবাইকে খোলা মনে সঙ্গে নিতে হবে। দলের জেলাস্তরে অনেক পুরনো নেতা আছেন, যারা হয়ত এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে আছেন। তাঁদের মূলধারার সংগঠনে জায়গা দিতে হবে, মিটিং-মিছিলে ডাকতে হবে।’