এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় মাথায় হাত রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের(Health Department) এক নির্দেশিকা ঘিরে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসক(Doctors of Government Hospitals) মহলে তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কার্যত মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। কেননা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এক নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে যে, এবার থেকে ১জন চিকিৎসককে ১ মাসে হাসপাতালের আউটডোরে(Outdoor) অন্তত ১ হাজার ৯৫০ রোগী(Patient) দেখতেই হবে। অর্থাৎ ১জন চিকিৎসক যদি মাসে ৩০দিনই আউটডোরে বসেই তাহলে দৈনিক তাঁকে ৬৫জন করে রোগী দেখতেই হবে। তবেই তিনি ওই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারবেন। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকায় এটাও জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের ১জন সার্জেনকে সপ্তাহে অন্তত ৭টি বড় অপারেশন করতেই হবে। আর এই নির্দেশ ঘিরেই রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের মধ্যে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার দাবিও যেমন উঠেছে, তেমনি গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।  

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩১ আগস্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে এই নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছে, এই প্রত্যাশিত হারে পৌঁছতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নিতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করতে হবে। চিঠির সঙ্গে ২৩ এপ্রিল থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৩ মাসে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালে রোগী দেখা ও অপারেশনের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৯টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১১টি জেলা হাসপাতাল, ৩১টি মহকুমা হাসপাতাল, ২৩টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং ১১টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অপারেশনের সংখ্যা অত্যন্ত হতাশাজনক। ২০টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ১৪টি জেলা হাসপাতাল, ৩৪টি মহকুমা হাসপাতাল, ২৪টি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও ১১টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসকদের রোগী দেখার সংখ্যাও অনেক কম।  

স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, বিগত এক দশকে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর প্রভূত উন্নতিসাধন ঘটেছে। গড়ে উঠেছে একাধিক নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। পাশাপাশি রাজ্য, জেলা ও মহকুমা স্তরের হাসপাতালগুলিতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ হয়েছে। বেড়েছে সিসিইউ ও এইচডিইউ বেডের সংখ্যা। বড় হাসপাতালে রেফার ও চিকিৎসার খরচ কমাতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য মানুষকে যাতে দূরে ছুটতে না হয়, তার জন্য পদক্ষেপও করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকারের সেই উদ্দেশ্য সর্বাংশে পূরণ হচ্ছে না। দফতরের নিজস্ব রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ১জন সরকারি চিকিৎসক হাসপাতালের আউটডোরে প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম রোগী দেখছেন। সার্জেনরা যথেষ্ট কম অপারেশন করছেন। তাই স্বাস্থ্য দফতরও পাল্টা পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে।

যদিও সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাতে চলছেন রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন। তাঁদের দাবি, ‘শুধুমাত্র সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা বিচার করা যায় না। কোনও কোনও অপারেশন শেষ হতে ৮ ঘন্টাও লেগে যায়। আর আউটডোরে কোনও চিকিৎসক রোগী ফিরিয়ে দেন না। এই নির্দেশের কোনও বাস্তবতা নেই। এই নির্দেশ ভিত্তিহীন। মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।’ যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, পরিষেবার মান উন্নত করতে ওই নির্দেশিকা নতুন করে দেওয়া হয়েছে।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর