নিজস্ব প্রতিনিধি : সামনেই লোকসভা ভোট। তার আগে শনিবার বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দফতর। রাজ্যের সব জেলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন রয়েছে, সেই বিষয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় স্পর্শকাতর বুথের তালিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এদিন সকাল দশটায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা ও কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনারও। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে যে গাইড লাইন ও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলি এদিন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশনের মাধ্যমে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কাছে তুলে ধরা হয়। ইতিমধ্যে কমিশন অফিসে স্পর্শকাতর অঞ্চল ও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা জমা পড়েছে। যে সব স্পর্শকাতর বুথের তালিকা জমা পড়েছে, তা যাতে নিখুঁত থাকে সেই বিষয়ে সতর্ক করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। ইতিমধ্যে রাজ্যে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন জেলায় যে সব স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করেই বিভিন্ন জেলায় এই বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
ইতিমধ্যে সন্দেশখালি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতা নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। মনে করা হচ্ছে, সেখানে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা শুরু হবে।
গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ মার্চের পরিবর্তে ৩ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। আগামী ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে থাকবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই রাজ্যে আসছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে ১২ জন নির্বাচনী আধিকারিকও আসছেন রাজ্যে। তার আগে এদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।