নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে নারদাকাণ্ডকে হাতিয়ার করেছিল বিজেপি। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে অস্ত্রও করেছিল। যদিও শাসকদলের দাবি, নারদাকাণ্ড গভীর ষড়যন্ত্র। তৃণমূল নেতৃত্বের সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন ‘নব্য বিজেপি’ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিচারপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নারদাকাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী চক্রান্তের শিকার’। তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, তবে কি যে তৃণমূল নেতাদের দেখা গিয়েছিল, তারাও চক্রান্তের শিকার? প্রশ্নের জবাবে অভিজিৎ বলেন, ‘অবশ্যই তাঁরাও চক্রান্তের শিকার।’ আর নব্য বিজেপি’র কথায় আঁতকে উঠেছেন বিজেপির আদি নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘রাজনৈতিক জ্ঞানশূন্যরা রাজনীতিতে যোগ দিলে এমনটাই ঘটবে।’
এদিন সল্টলেকে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎ স্বীকার করে নিয়েছেন, বিচারপতির দায়িত্ব সামলানোর সময়েই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যোগাযোগ করেছেন। গত সাতদিন ধরে কথাবার্তা চলেছে। একজন বিচারপতি হয়েও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে কীভাবে মুখে নীতি-নৈতিকতার কথা বলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
বিজেপিতে যোগ দিয়ে অন্তত লোকসভা ভোটে যাতে টিকিট পান তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভজনা করার পাশাপাশি কংগ্রেসকেও ‘পারিবারিক জমিদারির’ দল বলে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পরোক্ষে বিজেপির চক্ষুশূল রাহুল গান্ধিকে অযোগ্য বলেও আক্রমণ করেছেন। আগামী ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ভোটে লড়ার যে একশো শতাংশ অভিলাষ রয়েছে তাও লুকোননি তিনি। গত কয়েকদিন ধরে জল্পনা চলছে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা আসন থেকে লড়তে পারেন অভিজিৎ। তবে এদিন প্রাক্তন বিচারপতি জানিয়েছেন, ‘দল যে আসনে প্রার্থী করবে, সেখানেই লড়বেন।’ পাশাপাশি জ্যোতিষীর মতো ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ২০২৬ সালের আগেই ভাঙবে তৃণমূল।