নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরনিগমের(KMC) কাউন্সিলরদের(Councilor) জন্য একগুচ্ছে নয়া নির্দেশিকা জারি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। বিদ্যুৎ চুরি(Hooking), পুকুর ভরাট, নতুন নির্মাণের অনুমোদন(New Construction Sanction), পার্কিং প্রভৃতি বিষয়েই এই সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে যা কলকাতা পুরনিগমের সব কাউন্সিলরকে মেনে চলতে হবে, তা সে তিনি শাসক দলের কাউন্সিলর হন কী বিরোধি শিবিরের। শনিবার পুরনিগমে বসেছিল মাসিক অধিবেশন। সেখানেই এই সব নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন মেয়র।
আরও পড়ুন আবারও বাংলা ভারত সেরা, এবার Biometric খাদ্যসামগ্রী প্রদানে
মেয়র ওই অধিবেশনে জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি কাউন্সিলরকে লক্ষ রাখতে হবে তাঁর এলাকায় যেন বিদ্যুৎ চুরি না হয়। যদি হয় তাহলে সেই তথ্য দ্রুত পুরনিগমকে জানাতে হবে। এলাকার কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে তা জানিয়ে কাউন্সিলারদের কাছে অভিযোগ আসে। সেই এলাকাগুলির তালিকা বানিয়ে আমার কাছে পাঠাতে বলেছি। পদক্ষেপ করলে অবাঞ্ছিত মৃত্যু এড়ানো যাবে। বর্ষার আগে বিদ্যুতের বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারের আয়োজন করা হয়েছে। সেই ব্যাপারে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করতে কাউন্সিলারদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি সকলের সহযোগিতা পাব।’ এর পাশাপাশি মেয়র জানান, ‘কোনও না কোনও ওয়ার্ড থেকে রোজই পুকুর ভরাটের অভিযোগ আসে কলকাতা পুরনিগমে। এলাকার কোথায় কোথায় পুকুর আছে তার তালিকা আমার কাছে জমা দিন। কাউন্সিলার প্যাডে প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে মেয়রের অফিসে সেটা পাঠাতে হবে। সেই অনুযায়ী পুরনিগমের তথ্য ভাণ্ডার আপডেট করা হবে। সেই সঙ্গে এলাকায় কোনও মালিকানাহীন জমি পড়ে থাকলেও তার তালিকাও দিতে হবে। জমির সমস্যা সমাধানে ওয়ার্ডভিত্তিক ঠিকা সম্পত্তির তথ্যও কাউন্সিলারদের থেকে লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।’
আরও পড়ুন বাংলার ৩ লক্ষ কৃষককে ২৫০ কোটির বরাদ্দ মমতা সরকারের
এর পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘পুরনিগমের এলাকায় কোথাও নতুন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হলে সেই তথ্য জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট বরো চেয়ারম্যানকে। কোথায় কোন বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, কতটা পরিমাণ জমিতে সেই বাড়ি গড়ে উঠছে, ক’তলা বাড়ি হবে ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য বরো চেয়ারম্যানদের কাছে পাঠাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওখানকার আধিকারিকদের পাশাপাশি বরো চেয়ারম্যানরাও নজর রাখবেন। অনুমোদনের বাইরে গিয়ে সেখানে কোনও বেআইনি নির্মাণ হলে তা ধরা পড়বে। সেক্ষেত্রে আইনানুগ পদক্ষেপও নেওয়া যাবে।’ এই অধিবেশনেই শহরে গাড়ি পার্কিং নিয়ে বেশ কিছু কথা জানান মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিষ কুমার। তিনি বলেন, ‘বেআইনি পার্কিং করলে সেই গাড়িটি ধরা হয়। তা ছাড়ানোর জন্য কাউন্সিলাররা আর আমাকে ফোন করবেন না। আমাকে লিখে জানাবেন। কারণ কাউন্সিলাররাই গাড়ি ছাড়তে বলেন। অফিসাররা আবার নাছোড়বান্দা। এই দু’য়ের মাঝখানে আমি সমস্যায় পড়ি। ইতিমধ্যে নাইট পার্কিংয়ে টাকা নেওয়া চালু হয়েছে। রাতে বাড়ির সামনের রাস্তায় বা অন্যত্র গাড়ি রাখলে বছরে ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে এমন ৪০০টি গাড়ির পার্কিংয়ের অনুমোদন আমরা দিয়েছি। কলোনি এলাকার উন্নতি হয়েছে। তাঁরা গাড়ি নিয়েছেন। তবে বাড়ির নীচে গ্যারেজ নেই। রুট ম্যাপের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমরা ওই এলাকায় সব গাড়ির উপর স্টিকার দিয়ে জানাচ্ছি যে, মাসিক বা বার্ষিক পার্কিং অনুমতি নিন। না হলে বেআইনি পার্কিং থেকে গাড়ি তুলে নেওয়া হবে।’