নিজস্ব প্রতিনিধি: খাবারে ভেজাল রুখতে শহরের বিভিন্ন দোকানে হানা দিচ্ছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। উৎসবের মরশুমে ভেজাল যুক্ত খাবার বা মিষ্টি খেয়ে যাতে মানুষের স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না হয়, সেই কারণে এই হানা বলে জানা গিয়েছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (FSSAI) নির্দেশে মঙ্গলবার থেকে কলকাতা পুরসভার খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধক দফতর এই অভিযানে নেমেছে।
ইতিমধ্যে কলকাতার বিভিন্ন মিষ্টি দোকানে হানা দিয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উৎসবের মরসুমে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া খাবার নারকেল নাড়ু, তিলের নাড়ুতে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে কি না সেদিকেও কড়া নজর রাখছে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার প্রথম দিনে অভিযানে নেমে শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে হানা দিয়ে প্রায় ৩০টি নমুনা সংগ্রহ করেছেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। মিষ্টির দোকানে হানা দিয়ে মূলত ছানা, ক্ষীরের মিষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন নাড়ুর নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের পর তা পাঠানো হচ্ছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পরীক্ষাগারে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে খাবার প্রস্তুতকারক ব্যক্তি বা সংস্থা খাবারে কোনও ভেজাল দিচ্ছে কি না। প্রসঙ্গত দুর্গা পুজোর সময় কলকাতায় প্রতিটি বরোতে একদিন করে অভিযান চালায় খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেই অভিযানে মণ্ডপ চত্বরের দোকানগুলি থেকে খাবারের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। ৯০টি দোকানের মধ্যে ৪টি দোকানের খাবারের গুণমান খারাপ ছিল বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য এর আগে দুর্গা পুজোর মুখে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়ও খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা হানা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন মিষ্টি ও খাবারের দোকানে হানা দিয়ে খাবার পরীক্ষা করা হয়েছিল ভেজাল দেওয়া হয়েছে কি না তা জানতে। মূলত উৎসবের মরসুমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই অভিযান চালায় খাদ্য সুরক্ষা দফতর।