নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে তৃণমূলের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ধর্না অবস্থানের ৯৬ ঘণ্টা পর দেখা করছেন রাজ্যপাল। তবে ইতিমধ্যেই রাজভবনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মোবাইল নিয়ে রাজভবনে ঢোকা যাবেনা। এমনকি সংবাদমাধ্যমকেঅ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সব আলোচনাই হবে ক্যামেরার আড়ালে।
বিকেল ৪টেয় বৈঠকের ১৫ মিনিট আগেই রাজভবনে পৌঁছে যায় তৃণমূল। ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিতদের গুচ্ছ গুচ্ছ চিঠি নিয়েই হাজির হন অভিষেকরা। ২০ লক্ষের বেশি বঞ্চিত শ্রমিকের চিঠি তাঁরা রাজ্যপালকে তুলে দেবেন। অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০ জন সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজভবনে পৌঁছয়। এর মধ্যে সাত জন বঞ্চিত বা ১০০ দিনের কাজ করেও টাকা পায়নি এমন পরিবারের সদস্য রয়েছেন।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া প্রাপ্তির দাবিতে তৃণমূল দিল্লি অভিযান করে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির কৃষিভবন পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তবে মন্ত্রী সাক্ষাত না করেই বেরিয়ে যাওয়ায় কৃষিভবনেই ধরনায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্ত দিল্লি পুলিশ তাঁদের আটক করে। সেখান থেকেই রাজভবন অভিযানের ডাক দেন অভিষেক। দাবি একটাই, বঞ্চিতদের কথা রাজ্যপালকেই শুনতে হবে। তা তুলে ধরতে হবে দিল্লির দরবারে।
রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফরে থাকায় সাক্ষাৎ হয়নি। তাই ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের উত্তর গেটের সামনেই ধর্নায় বসেন অভিষেক। রবিবার রাতে দমদম বিমানবন্দরে নেমে অবশ্য তৃণমূলকে খোলাখুলি রাজভবনে আমন্ত্রণ জানান সি ভি আনন্দ বোস। বলেন, ”ভোর ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আমি আছি। রাজভবনে দরজা খোলা সকলের জন্য। যে কেউ দেখা করতে আসতে পারেন।” এর পর রাজ্যপাল রাজভবনের উত্তর গেটে অবস্থানকারী তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের এড়িয়ে দক্ষিণ গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন। জল্পনা উঠেছিল তিনি দেখা করবেন কিনা। অবশেষে তৃণমূলের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল।