নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অনব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরু পাচার মামলায় ধৃত সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিল ইডি। মঙ্গলবার আদালত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সেই আবেদন খারিজ করে দিল।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি পর্ব চলে। উভয় পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে এদিন বিচারপতি ইডির আবেদন খারিজ করে দেয়। উল্লেখ্য গত শুক্রবার আসানসোল জেলে দীর্ঘ চার ঘন্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনকে (Saygal Hossain) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের(Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা না করায় তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেন গোয়েন্দারা। প্রসঙ্গত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে আদালতের নির্দেশে জেলে ছিলেন সায়গল হোসেন। সেই জেলবন্দি সায়গলকে শুক্রবার আবার গ্রেফতার করে ইডির তদন্তকারীরা। এরপর সায়গলকে আসানসোল আদালতে তোলে ইডি। যদিও আসানসোল আদালত এই গ্রেফতারিকে মান্যতা দেয়নি। এর পরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্টেও মুখ পুড়ল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নাম পান গোয়েন্দারা। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, তদন্তে নেমে সায়গলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশের পর এখন ইডি কী করে সেটাই দেখার।