নিজস্ব প্রতিনিধি: হাইকোর্টের (HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানেই পর্ষদের দাবি, সিঙ্গেল বেঞ্চ সব কথা শোনেনি। আগামী বুধবার বিকেলে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলা। শুনানির সময় আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাঙালির মেনুতে শেষ পাতে চাটনি থাকে। হাইকোর্টেও দুর্নীতি হয়েছে চাটনির মতো। তাঁর প্রশ্ন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ফাঁসি। এ কেমন রায়? বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, চাকরি পরে হবে আগে মেন কোর্স শেষ হোক।
পর্ষদের দাবি, দীর্ঘ ৭ বছর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। দাবি, ইন্টারভিউয়াররা হয়ত সবটা মনে করে বলতে পারেননি। বলা হয়, কয়েকজন ইন্টারভিউয়ারের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে চাকরি বাতিল করা ঠিক নয়।
আদালতের প্রশ্ন ছিল, ইন্টারভিউ-অ্যাপটিচিউড টেস্টে পর পর অনেকে পেয়েছেন ৯.৫ এবং ১০। তা কী করে সম্ভব? পর্ষদের উত্তর, পরীক্ষার্থী অনেক। তাই অনেকে একই নম্বর পেতে পারেন। আদালতের প্রশ্ন, এঁরা অপ্রশিক্ষিত বলেই চাকরি বাতিল হয়েছে, না এর পেছনে অন্য কারণ আছে? এর উত্তরে আইনজীবী বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই ফাঁসি।
ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সকলকেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হয়েছে। যাতে সকলে সুযোগ পান। প্রশ্ন, পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেতে সমস্যা কী? বলা হয়, চাকরিহারাদের নেকড়ের মুখে ফেলে দেয়নি সিঙ্গেল বেঞ্চ। আরও বলা হয়, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে আছে কিছু কঠিন বাস্তব। উল্লেখ্য, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ে এদিন ডিভিশন বেঞ্চ কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি।