নিজস্ব প্রতিনিধিঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ড রীতিমত আলোড়ন ফেলেছে দেশজুড়ে। সোমবার এই ঘটনা নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ছাত্রমৃত্যুতে আমি দুঃখিত স্তম্ভিত।’
যাদবপুরকে আতঙ্কপুর হিসেবে আখ্যা দিয়ে মমতা বলেন, ‘যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। অনেক জায়গায় গেলেও, যাদবপুরে আমি যেতে চাই না। ছেলেটির ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। গ্রাম বাংলার কেউ পড়তে এলেই অত্যাচার করা হয়। আমি সব ছাত্রছাত্রীদের খারাপ বলছিনা। ওখানে কিছু আগমার্কা সিপিএম আছে। যাদবপুরের ওই ছেলেটির হাতে একটা মাদুলি ছিল। ওরা বলেছিল সেটা খুলতে হবে। যেন জমিদারি! ওটা যেন ওদের রেড ফোর্ট! ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসাতে দেয় না। ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢুকতে দেয় না’।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করেছিলেন স্বপ্নদীপের বাবাকে। ‘পাশে আছি’ বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্ত ও সুবিচার হবে, দোষীরা কঠোর শাস্তি পাবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। এদিন স্বপ্নদীপের বাবার সঙ্গে তাঁর ফোনের কথোপকথনের বিষয়টি উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘ওর বাবার সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। বগুলা থেকে কত স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এসেছিল। কত স্বপ্ন নিয়ে ছেলেটার নাম রেখেছিল!’