নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গিয়েছেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাংলার রাজ্যপাল আর এরাজ্যের কোনও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনও অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না। একই সঙ্গে রাজ্যপাল যাঁদের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন, তাঁরা কোনও সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এদিন অর্থাৎ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। কার্যত এই মামলায় রাজ্যপাল হেরে গিয়েছেন। আর তারপরে পরেই রাজ্যপাল বোসকে যে তৃণমূল(TMC) রেয়াত করবে না, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই মাঝে এবার রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ হেনেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)।
এদিন ব্রাত্য জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপাল আর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন না সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা যে আইনি সুবিচার চেয়েছিলাম সুপ্রিম কোর্ট তাতে সীলমোহর দিয়েছে। রাজ্যপালের জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে। আচার্যের পরাজয়ে আমাদের খারাপ লাগার কথা। আমরা বারবার তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করতে চেয়েছি। কিন্তু উনি বসেননি। এর পর আশা রাখব রাজ্যপাল আলোচনায় বসবেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন। আলোচনায় বসে এই পরিস্থিতির নিরসন ঘটাতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাসী। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে ওনার কার্যত আচার্য থাকার আর কোনও নৈতিক অধিকার নেই। যে বিল অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল রাজ্যপালের কাছে পেন্ডিং পড়ে আছে তাতে তিনি সই করবেন, এমনটাই আমরা আশা রাখছি। যে সমস্ত অস্থায়ী উপাচার্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বেতন পাবেন না, অনুরোধ থাকলো তাঁরা পদত্যাগ করুন।’