নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেনের(Indranil Sen) দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী এবং কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী তথা হুগলি জেলার চন্দননগরের তৃণমূল বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে রাজ্যের পর্যটন উন্নয়ন নিগমের(West Bengal Tourism Development Corporation) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের ভাইস চেয়ারপার্সন করা হয়েছে অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Sayantika Banerjee)। সেই হিসাবে রাজ্যের ক্ষমতার অলিন্দে কদর বাড়ল সায়ন্তিকারও। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারপার্সন পদে এতদিন ছিলেন আমলা নন্দিনী চক্রবর্তী। এবার তাঁর জায়গায় আনা হল ইন্দ্রনীল সেনকে। নতুন নির্দেশিকায় নন্দিনীকে পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অন্যতম ডিরেক্টর পদে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন মালার প্রশ্নে সামনে এল দেশে মুসলিমদের সংখ্যা
ইন্দ্রনীলের গুরুত্ব বৃদ্ধির প্রসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriya) জানিয়েছেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমার বহু পুরনো বন্ধু এবং মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী ইন্দ্রনীলদা পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাব, এই ব্যাপারে আমার অনুরোধটি অত্যন্ত স্নেহের সঙ্গে গ্রহণ করার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পর্যটন দফতরের মূল লক্ষ্য হল, আমাদের প্রকল্পগুলির কাজ তরান্বিত করা। ইন্দ্রদার আসায় আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ওঁর অভিজ্ঞতার সাহায্যে আমরা খুব দ্রুত গতিতে পর্যটন নিয়ে আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে পারব। আমি তাঁকে পর্যটন পরিবারে স্বাগত জানাই।’ উল্লেখ্য, ইন্দ্রনীল সেন আগে একটা সময় রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রীই ছিলেন। এবার তিনি রাজ্যের পর্যটনের আঙিনায় ফিরে এলেন রাজ্যের পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান হয়ে।
আরও পড়ুন ২ লক্ষ টাকায় সন্তান বিক্রি, কাঠগড়ায় মা
অন্যদিকে সায়ন্তিকা একুশের ভোটে বাঁকুড়া থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও পরাজিত হন। কিন্তু হারের মুখ দেখলেও বাঁকুড়াকে তিনি আঁকড়ে ধরেন। নিয়মিত বাঁকুড়ায় যাওয়া, সেখানে পড়ে থেকে মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া ও তৃণমূলের সাংগঠনিক দিকটি দেখা তাঁর নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সায়ন্তিকা একদম সামনে থেকেই লড়াই করেছেন। নিজে প্রার্থী না হয়েও দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করার পাশাপাশি বিজেপির চোখে চোখ রেখে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। আর ফল বলছে বাঁকুড়ার মাটিতে তৃণমূল শুধু জেলা পরিষদই দখল করেনি, জেলার সব পঞ্চায়েত সমিতিও জিতে নিয়েছে। সেই নির্বাচনের পরে পরেই সায়ন্তিকার এই পদপ্রাপ্তিকে সেই লড়াইয়ের পুরষ্কার হিসাবেই দেখা হচ্ছে।