এই মুহূর্তে




রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ছেন জহর, চিঠি তৃণমূল নেত্রীকে

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে দুর্দিনেই চেনা যায় কে বন্ধু আর কে শত্রু। যে বন্ধু সে দুর্দিনেও পাশে থাকে। আর যে শত্রু, সে দুর্দিনেই আঘাত হানে। বাংলার(Bengal) শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) এখন সেই দুর্দিনেই মধ্যে দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই দুর্দিনেই দলের একের পর এক সাংসদ, বিধায়ক, নেতা নিজেদের মুখোশ টেনে খুলে নিজেদের আসল মুখটা দেখিয়ে দিচ্ছেন। এই এবার যেমন দেখালেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার(Jawhar Sircar)। কেন্দ্রের এই প্রাক্তন আমলা তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee)। এরা ভেবেই নিয়েছেন, তৃণমূলের সরকার আর কয়েকদিনের। সরকার পড়ে গেলে তাঁরা ঢুকে যাবেন লাল বা গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তাঁরা ভুলে গিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

আরও পড়ুন, পেট্রোল পাম্পে তেল ভরে টাকা না দিয়ে পাম্পকর্মীকে পিষে দিল গাড়ি

জহর চিরকালীনই সুবিধাবাদী আমলা হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে এসেছেন সর্বস্তরে। জমি আন্দোলনের হাত ধরে তাঁর সঙ্গে মমতার যোগাযোগ বাড়ে। মোদি জমানায় জহর রাজনীতিতে পা রাখেন। যোগ দেন তৃণমূলে। জোড়াফুল শিবিরও তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসাবে পাঠায় ২০২১ সালের অগস্টে। ২০২৭ সালের অগস্ট পর্যন্ত তাঁর সাংসদ হিসাবে থাকার কথা। যদিও এখন সেই সময়ের আগেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিচ্ছেন জহর। শোনা যাচ্ছে, আর জি কর-কাণ্ডের(R G Kar Incident) প্রতিবাদে তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। সন্দেহ নেই এই ঘটনা তৃণমূলের কাছে অস্বস্তিকর। তবে সেটা সাময়িক। কেননা এই জহর সরকাররা কোনওদিনই দলের কোনও কর্মসূচীতে যোগ দেন না। দলের হয়ে কোথাও তাঁদের দেখা যায় না। দলের সুদিন হোক কী দুর্দিন, কোনওকালেই তাঁরা দলকে প্রাধান্য দেন না। আত্মমগ্নতেই দিন কাটে তাঁদের। তার থেকেও বড় কথা এরা বরাবরই বাম ঘেঁষা। এখন আর জি কর কাণ্ডকে ঘিরে বামেরা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে দেখেই এরাও স্বমূর্তিতে চলে আসছেন। 

আরও পড়ুন, সরকারি জমি জবরদখলে অভিযুক্ত খোদ মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্তে ভূমি দফতর

মমতার জমানায় রঙ, দল, ধর্ম না দেখে অনেককেই সম্মাণ প্রদান করা হয়েছে। সেই সূত্রেই জহর কদর পেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর কাছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জহর রীতিমত সরব হয়েছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই সূত্রেই তাঁকে সেই বছরেরই অগস্টে দলের তরফে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। কিন্তু তারপর থেকেই দেখা গিয়েছে জহর ক্রমশ তৃণমূল থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। দলের হয়ে কোনও কাজই তিনি করতেন না। এমনকি বিজেপিকে আক্রমণের পথেও হাঁটেননি তিনি কোনওদিন। আর এখন যখন আর জি কর কাণ্ডেকে আঁকড়ে ধরে বামেরা রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন সিপিআই(এম) ঘনিষ্ঠ এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা তৃণমূল ত্যাগ করছেন। সে করুন, অসুবিধা নেই। বরঞ্চ তৃণমূলের আখেরে লাভই হচ্ছে। দলের বেনো জল বেরিয়ে তো যাচ্ছেই, সেই সঙ্গে সামনে আসছে, ঠিক কারা তৃণমূলকে ভালবাসেন, আর কারা শুধু সুবিধা ভোগ করে থাকতে চাইছেন।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জুনিয়র চিকি‍ৎসকদের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন খোলসা ধর্মতলায় ‘দ্রোহের কার্নিভালে’

রাজ্যে দুর্গাপুজোয় মদ বিক্রিতে আবগারি দফতরের আয় বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ

রেড রোডের কার্নিভালে জনস্রোত, ডান্ডিয়া নাচে অংশ নিলেন মমতা

লক্ষ্মী পুজোয় শব্দ বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ বলে প্রচার শুরু পুলিশের

ধর্মতলায় ‘দ্রোহ কার্নিভালে’ অংশ নেওয়া জনতার গুন্ডামি, সুজিত বসুর গাড়িতে হামলা

হাসপাতাল ও স্কুলে ‘নিরাপত্তায়’ সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন নয়, রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর