নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁকে রাজনীতির মঞ্চেই বেশি সাবলীল ভাবে দেখা গিয়েছে। বিরোধী পক্ষ তাঁর যেই থাকুন না কেন তাঁকে বাছা বাছা শব্দে আক্রমণ করতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এবার তাঁকেই আদালতে এজলাসের মধ্যে একটি মামলার শুনানি চালাকালীন সময়ে বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গেল। তাঁর কথার মধ্যেই দিয়ে ঝরে পড়তে দেখা গেল আক্ষেপ আর অভিমান। তবে সেই অভিমান কার বিরুদ্ধে সেটা তিনি বলেননি। স্বাভাবিক ভাবেই তা এখন অনেকেরই নজর টানছে, অনেকেই অনেক কিছু জল্পনা করছেন। তিনি আইনজীবী তথা সাংসদ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে রেশন ডিলারদের একটি মামলায় শুনানি শেষে কল্যাণবাবু যে বক্তব্য রাখেন তা নিয়েই এখন জল্পনা ছড়িয়েছে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলার শুনানি শেষে কল্যাণবাবুর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল লাগেনি বিচারপতির। তার জেরেই তিনি প্রশ্ন করেন কল্যাণবাবুকে যে, ‘আপনি কি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ আছেন?’ এর উত্তরে কল্যাণবাবু জানান, ‘আপাতত শারীরিক ভাবে সুস্থ এবং মানসিক ভাবে সতর্ক আছি। অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। ভিখারি পাসোয়ান মামলায় আমার ছেলেকে কিডন্যাপ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমাকে দমানো যায়নি। বিভিন্ন সময় সমস্যার সম্মুখীন হয়েও অবিচল রয়েছি।’ এরপরে এজলাসে দাঁড়িয়েই বেশ আবেগপ্রবণ ভাবে কল্যাণবাবু জানান যে, তাঁর জুনিয়ররা প্রায় সকলেই আজ বিচারপতি হয়ে গিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের প্রসঙ্গেও এদিন বেশ ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমার জুনিয়র এক জন অ্যাডভোকেট জেনারেল হয়েছিলেন। তাই সবার ভালোবাসায় আমি ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাব।’