নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(General Election) দামামা বেজে উঠতে মেরেকেটে আর মাস ৬। তার আগেই কলকাতার মেট্রো রেলের(Kolkata Metro Rail) জন্য পুরো ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিল কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। আর তার দৌলতে ২০২৬ সালের মধ্যে কলকাতা পেতে চলেছে স্বদেশী প্রযুক্তিতে তৈরি মেট্রো রেক। ওই সময় থেকেই কলকাতার মাটির নীচে তথা ওপরে লাইন ধরে দৌড় দেবে ওই সব স্বদেশী রেকের মেট্রো রেলগুলি। কার্যত কলকাতার মেট্রো পরিবেষাকে আমূল পরিবর্তন করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রের অনুমোদিত ৬ হাজার কোটি টাকায় ৮৫টি স্বদেশী রেক মিলবে। আগামী ৩ বছরের মধ্যেই তা ধাপে ধাপে কলকাতায় চলে আসবে।
কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শহরে তিনটি করিডর মিলিয়ে ৪৫টি মেট্রো রেক চলে। আগামী ৩ বছরে নতুন আরও ৮৫টি রেক কলকাতায় আসছে। তার জেরে কলকাতায় সর্বমোট ১৩১টি রেক যাত্রী পরিষেবার জন্য থাকবে। নতুন যে রেকগুলি কলকাতায় আসবে সেগুলি এখনকার রেকের তুলনায় আরও অনেক বেশি আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি হবে। এই রেকগুলি দিয়েই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর, সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দা, জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড এবং কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর এই চারটি লাইনে পরিষেবা দেওয়া হবে। বেঙ্গালুরুর ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি এই রেকগুলির বগির ভিতরে থাকবে মোবাইল চার্জ দেওয়া ও ইউএসবি কেবল লাগানোর জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পয়েন্ট। এক একটি বগিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা এবং বসার আসন সংখ্যাও বেশি হবে। সেইও সঙ্গে মিলবে বেশি পরিমাণে দাঁড়াবার জায়গা এবং প্রয়োজনে ভারী লাগেজ নিয়ে যাওয়ার সুবিধাও।
একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, এই বগিগুলিতে নিরাপত্তার দিকে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য, আপৎকালীন সময় যাত্রীরা সরাসরি চালকের সঙ্গে বগির ভিতর থাকা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে যেমন কথা বলতে পারবেন তেমনি প্রত্যেকটি বগিতে থাকছে পর্যাপ্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা এবং অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া এই রেকগুলির বগিগুলিতে নিরাপত্তা এবং আধুনিকতায় যেমন জোর দেওয়া হয়েছে তেমনি অনেক বেশি অত্যাধুনিক ও মজবুত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বগিগুলির ফ্লোর করা হচ্ছে অ্যান্টি স্কিড প্রযুক্তির যাতে যাত্রীদের পা পিছলে যাওয়ার মতো ঘটনা না ঘটে। সেই সঙ্গে থাকছে অটোমেটিক ব্রেক প্রযুক্তি। বগিগুলি সাজানোর ক্ষেত্রে বাংলার সংস্কৃতির ছবিও বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে।