নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আরমাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা। মায়ের আগমনীর সূচনা হয়েই গিয়েছে। এখন থেকেই ঠাকুর দেখার ধুম পড়েছে। এই উৎসবের আবহে গোটা কলকাতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন পুলিশকর্মীরা। এবার পুজোর সময় কর্তব্যরত থাকাকালীন পুলিশের মোবাইল ব্যবহারে রাশ টানতে চলেছে লালবাজার। খুব প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করা যাবেনা। এমনকি কাঁধে নিজস্ব ব্যাগ নিয়েও ডিউটি করা যাবেনা বলেই নির্দেশ লালবাজারের।
সোমেই লালবাজারের কর্তা, প্রত্যেক থানা ও ট্রাফিক গার্ডের ওসিদের নিয়ে বৈঠকে বসতে পারেন পুলিশ কমিশনার। সেখানেই দেওয়া হতে পারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ। এবছর অন্তত ১০ হাজার পুলিশ পুজোর ডিউটিতে থাকবেন। পুজো ভলেন্টিয়ার, সিভিক ভলেন্টিয়ার, হোমগার্ডও থাকবেন। চতুর্থী থেকেই রাস্তায়-মণ্ডপে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন কম সংখ্যক পুলিশ। রাত ১২টায় আবার দ্বিতীয়ভাগে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ফলে সময়মাফিক তাঁদেরও বিশ্রামের ব্যবস্থা থাকবে।
নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য দুবেলায় ৮টি করে রাস্তায় ১৬টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড থাকবে। ১৩টি কুইক রেসপন্স টিম কমব্যাট ফোর্স থাকবে। আপৎকালীন ব্যবস্থায় ১২টি জায়গায় পিসিআর ভ্যান তৈরি থাকবে। ১৪টি জায়গায় মোতায়েন থাকবে অ্যাম্বুলেন্স ও ১৫টি জায়গায় ট্রমা কেয়ার। ৪৫টি ওয়াচ টাওয়ারে বসে নাইট বাইনোকুলার নিয়ে নজরদারি রাখবেন থানা ও গোয়েন্দা দপ্তরের দু’জন করে পুলিশকর্মী। মহিলাদের নিরাপত্তায় ২০টি মহিলা টিম ‘উইনার্স’-এর স্কুটিতে ৪০ জন মহিলা পুলিশকর্মী টহল দেবেন।
সশস্ত্র বাহিনী ও নেতাজি ব্যাটালিয়নের আওতায় অতিরিক্ত কন্ট্রোলরুমে তৈরি থাকছে বাহিনী।লালবাজারের নির্দেশ, এবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম হলেও প্রয়োজনে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা রেনকোট বা ছাতা রাখতে পারবেন। পুলিশের সুবিধার জন্য রাস্তায় থাকবে বারোটি মোবাইল টয়লেট ভ্যান। অর্থাৎ সমগ্র কলকাতায় পুজোর টহলদারিতেপুলিশে ছয়লাপ থাকবে।