নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ভবানীপুর উপনির্বাচন। গোটা দেশের নজর রয়েছে এই নির্বাচন কেন্দ্রের দিকে। কারণ এই কেন্দ্রের প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও বিতর্কিত রায়ের জেরে হার মানতে হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকতে ভবানীপুর আসনে প্রার্থী হিসেবে পুনরায় ভোটে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন। সেই কথা ভেবেই ভবানীপুরকে হট কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে কমিশন। বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ভবানীপুর উপনির্বাচনে আগেই ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আজ নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
অর্থাৎ শুধুই ভবানীপুরেই ৩৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছে কমিশন। আগেই শুধু ভবানীপুরের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আগামিকাল ভোটের দিন কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা ভবানীপুরকে। অশান্তি রুখতে রাস্তায় থাকছেন ৫ জন যুগ্ম কমিশনার, ১৪ জন ডেপুটি কমিশনার ও ১৪ জন অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার। আর পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী।
গত কয়েকদিন ধরেই ভবানীপুরের ভোট ঘিরে রাজনৈতিক পারদ তুঙ্গে উঠেছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই যুযুধান রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নজিরবিহীনভাবেই মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ছয়টা থেকে গোটা ভবানীপুর চত্বর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।