নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বিদেশ থেকে ডাক পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ডাক এল পড়শি দেশ নেপাল থেকে। সেখানে একটি সভায় বক্তব্য রাখার জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে সে সভা শিল্প সম্মেলনের মতোই। মুখ্যমন্ত্রী সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রাথমিক সন্মতি জানিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের তরফে সবুজ সঙ্কেত মেলার পরেই। আর সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ ডিসেম্বর একদিনের নেপাল সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রটোকল মেনে সেই সফরের জন্য কেন্দ্র সরকারের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। নবান্নের তরফে কেন্দ্রের কাছে সেই অনুমতি চাওয়াও হয়েছে। যদিও এখনও দিল্লি থেকে এই সফর নিয়ে কোনও বার্তাই আসেনি। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী লন্ডন ও রোম থেকে ডাক পেয়েছিলেন সেখানকার দুটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই তাঁকে বিদেশ সফরের অনুমতি দেয়নি মোদি সরকার। এক্ষেত্রেও সেই ঘটনা ঘটে কিনা সেটাই দেখার।
কেন্দ্রের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক মোদি জমানায় উচ্চগ্রামের বিরোধিতাতেই আটকে রয়েছে। সেই মোদি ও বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে মমতা এখন কংগ্রেসকেও কোনঠাসা করে দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে তৃণমূলকে তুলে ধরতে চাইছেন। যদিও ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসনপ্রাপ্তির সংখ্যা তৃণমূলের থেকেও কম হলে তবেই মমতার লক্ষ্য সফল হবে। মমতা নিজেও সেই হিসাব মাথায় রাখছেন। তবে ঘটনা এটাই যে বিজেপি তথা মোদি যেভাবে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসকে কোনঠাসা করার বার্তা দিয়েছেন তা মমতার রণকৌশলের জেরে অনেকটাই সফল হয়ে উঠতে পারে। কেননা বেশ কিছু রাজ্যে এখন কংগ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলই প্রধান বিজেপি বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। আগামী দিনে এই ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আরও বেশি করে ঘটবে। তাই কংগ্রেস নেতারা এখন সুর তুলেছেন মোদি-মমতা বোঝাপড়া নিয়ে। এখন ঘটনাচক্রে কেন্দ্র সরকার যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নেপাল যাত্রার অনুমতি দিয়ে দেয় তাহলে কংগ্রেসের এই অভিযোগ অনেকটাই মান্যতা পেয়ে যাবে। আর যদি কেন্দ্র তা না দেয় তাহলে কংগ্রেসের মুখ পুড়বে।