নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধাননগর সহ চার পুর নিগমের ভোটে ভূমিশয্যা নিয়েছে বিজেপি-সিপিআইএম ও কংগ্রেস। আর তিন দলের নেতাদের লজ্জার হারের কাঁটা ঘায়ে নুন ছিটোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ফের তিন দলকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘আমি আমাদের নিয়ে চিন্তিত। কে দ্বিতীয়, তৃতীয় হল তা নিয়ে আমার মাথব্যথা নেই। ওরা তিন দলই হচ্ছে জগাই, মাধাই, গদাই। তিন দলের মধ্যে গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। কখনও বিজেপি ভোটটা বামেদের দিয়ে দেয়, আবার কখনও বামেরা ভোটটা বিজেপিকে দিয়ে দেয়। তেমন কংগ্রেসও কখনও বিজেপিকে ভোটটা দিয়ে দেয়, আবার কখনও বিজেপি তাদের ভোট কংগ্রেসের বাক্সে ফেলে। লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে এই কাজ করেছে ওরা। সাধারণ মানুষ তিন দলের গোপন বোঝাপড়া ভালো করে বুঝে গিয়েছেন। তাই প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এদিনই সকালে উত্তরপ্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ চার পুর নিগমের ভোট নিয়ে ফের বাংলাকে নিশানা করেছেন। সে বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, উনি নামে আসলে ভোগী। উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে। মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা নেই। দলিত ও আদিবাসী মেয়েদের ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। করোনায় মৃতদের দেহ না গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটছে তাঁর পক্ষে বাংলা নিয়ে বড়-বড় কথা মানায় না।’
গোয়া বিধানসভা ভোটে এবার প্রথমবারের মতো লড়তে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সৈকত রাজ্যে দলের ফলাফল কী হবে, তা জানতে চাওয়া হলে মমতা বলেন, ‘গোয়ায় অন্যরকমভাবে ভোট হয়। টাকার খেলা চলে। তা সত্বেও বলছি, ভালো ফল হবে, খারাপ হবে না। মাত্র তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ভোটে লড়ছি। আজ গোয়ার প্রতিটি ঘরে-ঘরে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম পৌঁছে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে চিনেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র-ডেরেক ও ব্রায়েনরা ভালো কাজ করেছে।’