নিজস্ব প্রতিনিধি: মণিপুরে(Manipur) দুই কুকি মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানো ও তাঁদের গণধর্ষণ করার ঘটনা সামনে আসতেই গোটা দেশের মাথা নত হয়ে গিয়েছে লজ্জায়। একই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে ডবল ইঞ্জিন সরকারের ভূমিকা ও কার্যকারিতাও। পরিস্থিতি এমনই যে মণিপুরের রাজ্যপালকে বলতে হচ্ছে, সে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এখন সেই রাজ্যে একমাত্র তিনিই নাকি পারেন শান্তি স্থাপন করতে। সেই ঘটনা সামনে আসার পরে পরেই এবার মণিপুরের ঘটনা নিয়ে নিজ ক্ষোভ ট্যুইট(Tweet) করে তুলে ধরলেন মমতা। লিখলেন, ‘মণিপুর থেকে যে ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো সামনে আসছে তা যথেষ্ট হৃদয়বিদারক। একদল উন্মাদ জনতা দুজন মহিলার ওপর পাশবিক অত্যাচার করছে। এই প্রান্তিক মহিলারা যে ধরনের অত্যাচার ও হিংসার সাক্ষী হচ্ছেন, সেই বিষয়ে নিন্দা জানানোর মতো কোনও শব্দই যথেষ্ট নয়। এই ধরনের বর্বর কাজ মনুষ্যত্বের পক্ষে বিপদজনক। দুষ্কৃতীদের দ্বারা এই ধরনের অমানবিক কাজকে আমাদের সবার একত্রিত হয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো উচিৎ ও অত্যাচারিতরা যাতে বিচার পান সেই চেষ্টা করা উচিৎ।’
আরও পড়ুন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, মণিপুরে হিংসা ছড়ানোর পর সেই রাজ্যে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নাকচ করে দেয়। কিন্তু এখন মণিপুরের রাজ্যপালই জানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কিছু করেন। কেননা তাঁর বিশ্বাস একমাত্র মমতাই পারবেন সেই রাজ্যে শান্তি ফেরাতে। এই অবস্থায় মমতার ট্যুইট কার্যত জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে যথেষ্ট ইঙ্গিত তুলে ধরল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়ার আবেদন নাকচ হওয়ার পরেই তিনি তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলকে মণিপুরে পাঠান সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। ঘটনাচক্রে সেই দল আজই তাঁদের সফর শেষে রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। আর আজকেই সামনে এসেছে মণিপুরের রাজ্যপালের অভিপ্রায়। আর তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া বার্তা নজর টানছে জাতীয় রাজনীতির। তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, মণিপুরের নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও(Narendra Modi)। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। একজন অপরাধীও পার পাবে না।’