নিজস্ব প্রতিনিধি: গেরুয়া শিবিরকে বড় ধাক্কা দিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধনের(Inaguration of Rammandir) দিনেই বাংলার মাটিতে কলকাতার(Kolkata) বুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সংহতি মিছিলে সামিল হওয়ার কথা জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্ট(Paschimbanga sanatan Brahmin Trust)। তপন কুমার মিশ্র যিনি ট্রাস্টের সম্পাদক, তিনি জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের ২৩টি জেলার সমস্ত ব্লকেই ভূদেবমন্ডলী অর্থাৎ জেলা সংগঠনের সদস্যরাও সংহতি মিছিলে অংশ নেবেন। কারণ বাংলায় ধর্মান্ধতার কোনও জায়গা নেই।’ সন্দেহ নেই ট্রাস্টের এই সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের কাছে একটা বড় ধাক্কা। অসমাপ্ত অর্ধনির্মিত মন্দিরে গায়ের জোরে রাষ্ট্রশক্তির মাধ্যমে যেভাবে রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে এবং যেভাবে গোটা ঘটনাটি রাজনৈতিক ভাবে গেরুয়া শিবিরের তরফে ভোট ইস্যু করে তোলা হয়েছে, তাতে খুবই ক্ষিপ্ত দেশের ৪ শঙ্করাচার্য। ক্ষুব্ধ নাগা সাধুরাও। এবার সেই তালিকায় যোগ হল বাংলার সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টও।
এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, আগামিকাল মিছিল শুরুর আগে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দেবেন তৃণমূলনেত্রী। এরপর হাজরা মোড় থেকে তিনি মিছিলে অংশ নেবেন। তাঁকে সামনে রেখেই মিছিল এরপর এগিয়ে যাবে পার্ক সার্কাসের দিকে। পথে বালিগঞ্জের কাছে গুরুদ্বার ও পরে চার্চ ও মন্দিরেও শ্রদ্ধা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়েই কার্যত গেরুয়া আবেগ। বাংলাতেও সেই আবেগ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসিন্দারা যাচ্ছেন অযোধ্যায়। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চান তাঁরাও। পাড়ায় পাড়ায় আচমকাই পুজো পাঠের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। রামমন্দির আবেগ আছড়ে পড়েছে বাংলাতেও। যদিও তাতে যে গেরুয়া শিবিরের বিশেষ কিছু লাভ হবে এমনটা মনে করছেন না রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। তিনি জানিয়েছেন, ‘মন্দিরের উদ্বোধনকারীদের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তবে মন্দির নিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই ধরনের উন্মাদনা নেই। দেশের কোথাও না কোথাও প্রতি দিন মন্দির, মসজিদ, গির্জার উদ্বোধন হচ্ছে।’