নিজস্ব প্রতিনিধি: চাকুরীজীবীদের(Employees) জন্য এবার সুখবর দিল মোদি সরকার(Modi Government)। নিয়ম বদল হতে চলেছে প্রভিডেন্ট ফাণ্ড বা পিএফে(Provident Fund)। তবে এই নিয়ম বদল মাত্র ১টি ক্ষেত্রে করা হচ্ছে। কিন্তু তার নির্যাস পাবেন পিএফের আওতায় থাকা বা তার সুবিধা পাওয়া সব চাকুরীজীবীই। এতদিন নিয়ম ছিল কমপক্ষে ১০ বছর পিএফ অ্যাকাউন্ট না চললে পেনশন ফান্ডে জমা হওয়া টাকায় পেনশন পাওয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, পিএফ ফান্ডে সঞ্চিত টাকার সঙ্গে এক লপ্তে পেনশন ফান্ডে জমা হওয়া টাকাও তুলে নিতে হতো। চাকরির মেয়াদ ৬ মাসের কম হলে সেই খাতের টাকাটাই আর ফেরত পাওয়া যেত না। এবার এই নিয়মেই বদল আনছে মোদি সরকার। এবার থেকে আর কোনও কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ৬ মাসের কম হলেও তিনি পেনশন ফান্ডের টাকা পাবেন। এর ফলে স্বল্প সময়ের জন্য চাকরি করা বহু মানুষ আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন লোকসভায় কে, অসিত না লকেট, প্রশ্ন পোস্টারকাণ্ডে
পিএফের সুবিধা যাঁরা পান, তাঁদের হয়ে শর্তসাপেক্ষে বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন ফান্ডে জমা করে সেই সংস্থা যেখানে তিনি চাকরি করেন। কমপক্ষে ১০ বছর সেই টাকা জমা পড়লে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী পেনশন পান। তার আগেই পিএফ অ্যাকাউন্ট গুটিয়ে ফেললে সংশ্লিষ্ট কর্মী পেনশন ফান্ডের টাকা একলপ্তে তুলে নিতে পারেন। যদি কোনও কর্মচারী ৬ মাসের কম চাকরি করেন এবং পিএফ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন, তাহলে বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী তিনি পেনশন ফান্ডে জমা হওয়া কোনও টাকা ফেরত পাবেন না। তবে পিএফের টাকা তুলতে তাঁর কোনও সমস্যা হয় না। সম্প্রতি পিএফের অছি পরিষদের বৈঠকের এই নিয়ম বদলের সুপারিশ করা হয়েছে মোদি সরকারের তরফে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ছ’মাসের কম চাকরি করলেও পিএফের সঙ্গে পেনশন ফান্ডে জমা হওয়া টাকাও তোলা যাবে। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর কোনও আর্থিক ক্ষতি হবে না। একটি চাকরি ছেড়ে যদি কেউ অন্য কোনও সংস্থাতেও ঢোকেন, তিনি তাঁর পিএফ অ্যাকাউন্টও সেখানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইউএএন নম্বর একই থাকতে হবে। পেনশন ফান্ডে টাকা জমা পড়ার ক্ষেত্রেও কোনও ছেদ পড়বে না।
আরও পড়ুন জেলা ভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষে
এর পাশাপাশি পেনশনের হিসেব কষার অঙ্কেও সামান্য পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, যাঁরা অন্তত ৩৩ বছর চাকরি করেছেন, পেনশন পাওয়ার সময় তাঁদের কর্মজীবন ৩৫ বছর ধরা হয়। এক্ষেত্রে চাকরির মেয়াদের হিসেবে ২টি বছর তিনি বোনাস হিসেবে পেতেন। পেনশন নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটাই চাকরির মেয়াদের সর্বোচ্চ সীমা। এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৪২ বছর করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এখন যদি কেউ ৩৮ বছরও চাকরি করেন, পেনশনের হিসেব কষতে গেলে তাঁর ৩৫ বছরের কর্মজীবন ধরা হয়। নতুন নিয়মে কর্মজীবনের মেয়াদ ৩৮ বছর ধরেই তাঁর পেনশনের অঙ্ক কষা হবে।